বই খুলে এইচএসসি পরীক্ষা, দুই কেন্দ্র সচিবসহ ৫ জন প্রত্যাহার
বই খুলে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের দায়িত্বরত দুই কেন্দ্র সচিবকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আজ সোমবার কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এই ব্যবস্থা নেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।
কেন্দ্র সচিবেরা হলেন পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল বাশার ও নিন্দুপুর মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাবিবুর রহমান।
একই অভিযোগে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ওই কেন্দ্রের ট্যাগ অফিসার সোহেল রানাসহ দায়িত্বরত দুই শিক্ষককেও প্রত্যাহার করা হয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এইচএসসি বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার দিন কচুয়ার নিন্দুপুর মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের তৃতীয় তলার ১০৭ নম্বর কক্ষে পরীক্ষার্থীরা কেউ বই খুলে, কেউবা বাইরে থেকে উত্তরপত্র সংগ্রহ করে, আবার কেউ একজন অন্যজনের খাতা দেখে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। বিষয়টি ওই কেন্দ্রের কেউ একজন গোপনে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। বিষয়টি তখন প্রশাসনের নজরে আসে। ওই দিন ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি ট্যাগ অফিসার হিসেবে ছিলেন কচুয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোহেল রানা। তাঁর উপস্থিতিতে ওই দিনসহ প্রতিদিনই এভাবে বই দেখে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ ওঠে। প্রতিদিন এ সুযোগ পেতে কেন্দ্র সচিব ও ট্যাগ অফিসারকে মোটা অঙ্কের টাকা প্রদান করা হতো। বিষয়টি নিয়ে ওই এলাকার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
রুস্তম আলী কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কোন কক্ষে কী হয়েছে, সেটা আমি বলতে পারছি না। তবে আজ সোমবার এ ঘটনায় প্রশাসন দুই কেন্দ্রের সচিবকে পরিবর্তন করে ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে নতুন দুজনকে দায়িত্ব দিয়েছেন।’
ইকবাল আজিজ নামের স্থানীয় একজন বলেন, এভাবে একজন এমপির (সেলিম মাহমুদ) বাবার নামে প্রতিষ্ঠানের ছেলেমেয়েদের নকলের সুযোগ করে দিয়ে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ক্ষতি করা হচ্ছে।
কচুয়া নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এহসান মুরাদ বলেন, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষে তদন্ত করা হচ্ছে। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড থেকেও একটি তদন্ত দল আসবে।