লালন আনন্দধামে রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তদের হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় লালন আনন্দধামে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গত রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে কাউলিবেড়া ইউনিয়নের মোটরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আগুনে পুড়ে গেছে লালন ফকিরের ছবি, বেশ কিছু মূল্যবান গ্রন্থ ও জার্নাল। পুড়িয়ে দেওয়া হয় একতারা, দোতারা, বায়া, জুড়ি, গিটারসহ বেশ কিছু বাদ্যযন্ত্র। ভাঙচুর করা হয় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভাস্কর্যও।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ২০১৩ সালে উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের মোটরা গ্রামে ৫১ শতাংশ জমির ওপর এ লালন আনন্দধাম প্রতিষ্ঠা করেন সদরপুর সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ জাহিদ হাসান। এই আনন্দধামে নিয়মিত পাঠচক্র, লোকসাহিত্য নিয়ে গবেষণা ও আলোচনা করা হতো। লোকগান ও লালনসংগীতের অনুষ্ঠান এবং রবীন্দ্র-নজরুল-জসীমউদ্দীনের জন্মজয়ন্তী পালনসহ নানা আয়োজন করা হতো। এসব অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা সমবেত হতেন।
সৈয়দ জাহিদ হাসান জানান, ১২ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আনন্দধামে হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। কয়েক দিন আগে একদল দুর্বৃত্ত আনন্দধামের সিসি ক্যামেরাগুলো ভাঙচুর করে। আর এখন এ ঘটনা ঘটল। আনন্দধামটি সীমানাপ্রাচীর দিয়ে ঘেরা। ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা গাছ বেয়ে ভেতরে ঢুকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। দুর্বৃত্তরা আনন্দধামের বিভিন্ন কক্ষ থেকে বই ও বাদ্যযন্ত্র এক জায়গায় এনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ব্যাপারে তিনি আইনগত পদক্ষেপ নেবেন।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি আমার জানা নেই। বিষয়টি জেনে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’