চামড়া সংরক্ষণের লবণ আয়োডিনযুক্ত বলে খাবারের জন্য বিক্রি
কারখানার ভেতরে প্যাকেটজাত করা হচ্ছিল লবণ। প্যাকেটের গায়ে আয়োডিনযুক্ত লবণ লেখা থাকলেও পরীক্ষায় জানা গেল, তাতে নেই কোনো আয়োডিন। আবার এসব লবণ খাওয়ার যোগ্য নয়। এ লবণ চামড়া সংরক্ষণে ব্যবহার করা ইন্ডাস্ট্রিয়াল লবণ। চট্টগ্রাম নগরের বিএফসি ফুড প্রোডাক্টস গ্রুপের কারখানায় বিক্রির জন্য এভাবেই তৈরি হচ্ছিল প্যাকেটজাত লবণ।
আজ সোমবার নগরের খাজা রোড এলাকায় অভিযানে গিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্রগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। এ সময় কারখানায় বিভিন্ন খোলা পণ্য বাজার থেকে কিনে প্যাকেটজাত করার প্রমাণ পান কর্মকর্তারা। এসব অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জানা গেছে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল লবণ কিনে প্যাকেটজাত করে আয়রন যুক্ত খাবার লবণ হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছিল। বিসিকের পরীক্ষায় এসব লবণে কোনো আয়োডিন পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া খোলা ময়দা, সয়াবিন তেল, শর্ষের তেল, পাম তেল, চিনিগুঁড়া চাল, ডাল, আটা, ময়দা, চিনি, সাবানসহ বিভিন্ন পণ্য বাজার থেকে কিনে নিজেদের নামে প্যাকেট করে বিক্রি করছে তাঁরা।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্রগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রানা দেবনাথ, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আনিছুর রহমান, বিসিকের কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা।
সহকারী পরিচালক রানা দেবনাথ প্রথম আলোকে বলেন, অনুমোদন না থাকলেও প্যাকেটের গায়ে লেখা ছিল বিএসটিআই অনুমোদিত। এর আগে গত মঙ্গলবার তাঁদের কারখানা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে আজ গিয়ে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁদের জরিমানা করা হয়।