ঝালকাঠিতে বিএনপি নেতার ওপর হামলা মামলার আসামি ছাত্রদল নেতা

মামলাপ্রতীকী ছবি

ঝালকাঠিতে বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতার ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি বিত্তয় কুমার সরকারকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝালকাঠির দ্রুত বিচার আদালতে মিনার মাহমুদ জুয়েল বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। বাদী বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামালের ছোট ভাই।

আদালতের বিচারক মো. মনিরুজ্জামান ঝালকাঠি থানার ওসিকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। এ মামলায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুকে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। ছাত্রদলের সহসভাপতিকে ৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় ঝালকাঠি ও রাজাপুরের যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ মোট ৪১ জনের নাম রয়েছে।

এজাহারে বলা হয়েছে, বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করার অসৎ উদ্দেশ্যে আমির হোসেন আমুর নির্দেশে সন্ত্রাসী বাহিনী ২০২২ সালের ৭ আগস্ট ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের সামনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামালের ওপর হামলা করে। এ সময় তাঁর গাড়ি ভাঙচুর এবং তাঁকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা।

জামালের ছোট ভাই জুয়েল বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় এত দিন মামলা করতে পারিনি। আসামিরা আমার ভাইসহ বিএনপি নেতাদের ওপর হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা ছাত্রদলের এক নেতা জানান, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এবং পরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরের অনুসারী ছিলেন। সে হিসাবে তাঁকে এ মামলায় আসামি করা হতে পারে।  

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি বিত্তয় কুমার সরকার বলেন, ‘দলের দুঃসময়ে আন্দোলন সংগ্রামে আমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছি। নিজ দলেয় কেন্দ্রীয় নেতার ওপর হামলার ঘটনায় আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে এই ঘটনার বিচার চাই।’

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আরিফুর রহমান খান বলেন, মামলাটি পারিবারিকভাবে করা হয়েছে। এটি কোনো দলীয় মামলা নয়। তারপরেও একজন ছাত্রদলের নেতা হিসেবে পটপরিবর্তনের পরেও মামলার আসামি হওয়া দুঃখজনক ঘটনা। আমরা দলীয় ফোরামে এ বিষয়ে আলোচনা করব।