সিলেটে এবার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ভাতিজাকে কুপিয়ে আহত
সিলেটে এবার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ভাতিজাকে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। আহত জুহান খান (২৪) সিলেট নগরের পীরমহল্লা এলাকার জহির খানের ছেলে এবং সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খানের ভাতিজা। এ সময় জুহানের বন্ধু একই এলাকার সোহান আহমদ (২৫) আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেট নগরের বনকলাপাড়া এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা ও কর্মীকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটে। এ সময় সিলেট ৭ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মনজুর আহমদ ও কর্মী রুমেল আহমদ আহত হন। তাঁরা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আফতাব হোসেনের কর্মী ছিলেন। এ ঘটনার এক সপ্তাহ পর আফতাবের ভাতিজাকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটল।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে সিলেট নগরে পরীমহল্লা এলাকায় বন্ধুর সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন জুহান খান। এ সময় কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যান। দুর্বৃত্তদের হামলায় জুহানের সঙ্গে থাকা সোহান আহমদ নামের আরেক তরুণ আহত হয়। পরে স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
আহত জুহানের বাবা জহির খান বলেন, এলাকার মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বের হওয়ার সময় তাঁকে এক তরুণ জুহানকে কুপিয়ে আহত হওয়ার খবর জানান। হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জুহানের চাচা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা। এ জন্য জুহানের ওপর হামলা করা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত এ হামলা করেছে বলে দাবি জহির খানের।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, জুহানের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এর মধ্যে পায়ে গভীর আঘাত আছে। রোববার রাতে তাঁকে রক্ত দেওয়া হয়েছে। জুহানের অবস্থা স্থিতিশীল। আজ অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা।
এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিসুর রহমান বলেন, রোববার রাতে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে।