খুলনায় নারী ফুটবলারদের ওপর হামলার মামলার ৩ আসামির জামিন বাতিল
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় নারী ফুটবলারদের ওপর হামলার ঘটনায় তিন আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাঁদের জামিন বাতিলের জন্য খুলনার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করলে তা মঞ্জুর করেন বিচারক। এরপর আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি।
তিন আসামি হলেন নূপুর খাতুন, তাঁর ভাই সালাউদ্দিন খাঁ ও তাঁদের মা রঞ্জি বেগম। মামলার অন্য আসামি নূপুরের বাবা নুর আলম খাঁ পলাতক আছেন। জামিন বাতিলের আবেদনের সময় ওই তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। গত ১ আগস্ট আদালত তাঁদের জামিন দিয়েছিলেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বটিয়াঘাটা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কৌশিক কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, কিছু শর্ত সাপেক্ষে আসামিদের জামিন দিয়েছিলেন আদালত। কিন্তু জামিনে মুক্তি পেয়ে তাঁরা বাদী সাদিয়া নাসরিনকে মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করেন। মামলা তুলে না নেওয়া হলে সাদিয়া নাসরিনসহ ওই ফুটবল একাডেমির অন্যান্য নারী ফুটবলারদের মুখে অ্যাসিড নিক্ষেপ করা হবে বলেও হুমকি দেন তাঁরা। ওই ঘটনায় সাদিয়া নাসরিন বটিয়াঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করে ওই ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আদালতে ওই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে আসামিদের জামিন বাতিলের আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
সাদিয়া নাসরিন বটিয়াঘাটার তেঁতুলতলা সুপার কুইন ফুটবল একাডেমির সদস্য। গত ২৯ জুলাই ফুটবল খেলার ছবি দেখানোকে কেন্দ্র করে একই এলাকার কয়েকজন সাদিয়া নাসরিন, ফুটবল একাডেমির অন্য তিন সদস্য মঙ্গলী বাগচী, জুঁই মণ্ডল ও হাজেরা খাতুনকে মারধর করেন। এর মধ্যে সাদিয়া ও মঙ্গলীকে প্রায় দুই ঘণ্টা গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। ওই ঘটনায় পরদিন বটিয়াঘাটা থানায় একই পরিবারের নূপুর খাতুন ও তাঁর ভাই সালাউদ্দিন খাঁ, তাঁদের বাবা নুর আলম খাঁ ও মা রঞ্জি বেগমকে আসামি করে মামলা করে সাদিয়া।
মামলার পরপরই নূপুর, সালাউদ্দিন ও রঞ্জি বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে পরদিনই তাঁরা জামিনে ছাড়া পান। জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর থেকেই আসামিরা বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ করে ফুটবলার সাদিয়া নাসরিন।