উখিয়া আশ্রয়শিবিরে দুর্বৃত্তের গুলিতে রোহিঙ্গা তরুণ নিহত
কক্সবাজারের উখিয়ায় সন্ত্রাসীর গুলিতে নুরুল আলম (২৬) নামের এক রোহিঙ্গা তরুণ নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাতে মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-১০) এ ঘটনা ঘটে। পৃথক আরেক ঘটনায় গতকাল রাত নয়টার দিকে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে হাবিবুল্লাহ (২০) নামের এক রোহিঙ্গা যুবক সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হয়েছেন।
নিহত নুরুল আলম মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরের বাসিন্দা। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থার অধীনে আশ্রয়শিবিরের উন্নয়নকাজ দেখাশোনা করতেন। এদিকে হাবিবুল্লাহ উপজেলার পশ্চিম লেদার নয়াপাড়া এক্সটেনশন রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের আই-৮ ব্লকের বাসিন্দা হোসেন আহমদের ছেলে।
১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক নাঈমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, নিহত রোহিঙ্গা নুরুল আলম এনজিও সংস্থা কারিতাসে চাকরি করতেন। কী করণে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হলো, সেটি অনুসন্ধান করা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার বেলা একটা পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের ধরতে ক্যাম্পে অভিযান চালাচ্ছে এপিবিএন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, গুলিতেই রোহিঙ্গা যুবক নুরুল আলমের মৃত্যু হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ আশ্রয়শিবিরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে গতকাল রাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম লেদার নয়াপাড়ায় হাবিবুল্লাহর কাছ থেকে ৮-১০ অজ্ঞাত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় হাবিবুল্লাহ তাঁদের বাধা দিলে তাঁকে গুলি করা হয়। এতে হাবিবুল্লাহর পেটে গুলি লাগে। ১৬ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাফর বলেন, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা ডাকাতির জন্য আশ্রয়শিবিরে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। হাবিবুল্লাহ বিষয়টি দেখে ফেললে অস্ত্রধারীরা হাবিবুল্লাহর কাছ থেকে মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে হাবিবুল্লাহকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে তাঁরা। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় হাবিবুল্লাহকে উদ্ধার করে লেদা আইওএম হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।