টানা ছুটিতে সাজেক-কাপ্তাইয়ের কোনো রিসোর্ট-কটেজ খালি নেই
টানা তিন দিনের ছুটিতে রাঙামাটির বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। ইতিমধ্যে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের রুইলুই ভ্যালির কোনো রিসোর্ট-কটেজ খালি নেই। গত মঙ্গলবার থেকে রিসোর্ট-কটেজের এসব কক্ষ বুকিং করেছেন পর্যটকেরা।
শুধু সাজেক পর্যটনকেন্দ্র নয়, রাঙামাটি শহরের আবাসিক হোটেল-মোটেল ও পর্যটন কমপ্লেক্সের কক্ষগুলোও বুকিং চলছে। কাপ্তাই হ্রদ ঘিরে গড়ে ওঠা রিসোর্ট-কটেজগুলোও বুকিং করা হয়েছে।
রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ও শুক্র-শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে টানা তিন দিনের ছুটিতে সাজেকের সব রিসোর্ট-কটেজ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। মঙ্গলবার থেকে সেখানে কোনো কক্ষ খালি নেই। এ অবস্থায় বুকিং ছাড়া কোনো পর্যটক সাজেক ভ্রমণ করলে তাঁদের খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হবে। এর আগে গত বছর বড়দিনের ছুটিতে রিসোর্ট-কটেজে কক্ষ না পেয়ে শত শত পর্যটক রাস্তায় রাত কাটান। এ ছাড়া বার্গী লেক ভ্যালি, নীলাঞ্জনা রিসোর্ট, বড়গাং ও রাঙাদ্বীপেরও কোনো কটেজ খালি নেই। তবে রাঙামাটি শহরের আবাসিক হোটেল-মোটেলগুলো প্রত্যাশার তুলনায় কম বুকিং দিয়েছেন পর্যটকেরা। বুকিং কম হওয়ায় আবাসিক হোটেল-মোটেল মালিক সমিতি ২০ শতাংশ ভাড়া ছাড় দিয়েছে।
সাজেকের রুইলুই ভ্যালির রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি জানায়, রুইলুই ভ্যালিতে বর্তমানে ১১২টি রিসোর্ট-কটেজ আছে। এতে চার হাজারের বেশি অতিথি থাকতে পারেন। গত মঙ্গলবার থেকে এসব কটেজের সব কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে যায়। কাল শুক্রবার ৯০ শতাংশ ও শনিবার ৬০ শতাংশ বুকড আছে। এ ছাড়া রাঙামাটি শহরের আবাসিক হোটেল-মোটেলগুলোয় এখন পর্যন্ত ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়েছে। আর রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ৯০ শতাংশ আগাম বুকিং হয়েছে।
সাজেকের হিল ভিউ রিসোর্টের মালিক ইন্দ্রজিৎ চাকমা বলেন, ‘আমার রিসোর্টে ১০টি কক্ষ আছে। কক্ষগুলো দুই দিন আগে থেকে অগ্রিম বুকিং করেছেন পর্যটকেরা। কাল শুক্রবারও ৯টি কক্ষ বুকড আছে।’
রুইলুই ভ্যালি রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জেরি লুসাই প্রথম আলোকে বলেন, সাজেকের ১১২টি রিসোর্ট-কটেজে আজ কোনো কক্ষ খালি নেই। সব কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। যদি কেউ বুকিং ছাড়া রুইলুই ভ্যালিতে ভ্রমণ করতে আসেন, তাহলে কোনো কক্ষ ভাড়া পাবেন না। কক্ষ না থাকলে রাস্তা, বারান্দা ও স্টোররুমে রাত কাটতে হবে। আগেও একাধিকবার এমন অবস্থা হয়েছে।
রাঙামাটি শহরের আবাসিক হোটেল-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি মো. মঈন উদ্দিন সেলিম প্রথম আলোকে বলেন, অন্যান্যবারের ছুটির তুলনায় এবার তাঁদের অগ্রিম বুকিং কম হয়েছে। তবে শুক্রবারের মধ্যে সব বুকিং হয়ে যেতে পারে।
রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক বিকাশ চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবী ও সাপ্তাহিক ছুটিতে এখন পর্যন্ত ৯০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়েছে। এখন বুকিং ছাড়া পর্যটক এলে বাকি ১০ শতাংশ কক্ষ খালি থাকবে না।