ময়মনসিংহে বহিষ্কৃত নেতার ত্রাণের টাকা ফেরত দিল বিএনপি

বিএনপি

সদ্য বহিষ্কৃত ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফখরুদ্দিন আহমেদের দলের ত্রাণ তহবিলে দেওয়া ১০ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির (বিএনপি) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও কেন্দ্রীয় ত্রাণ কমিটির সদস্যসচিব আবদুস সালাম আজাদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ভালুকা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফখরুদ্দিন আহমেদকে (বাচ্চু) দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কা করা হয়, যা বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ সংগ্রহ কমিটি অবহিত ছিল না। এই পরিপ্রেক্ষিতে ত্রাণ তহবিলে তাঁর দেওয়া ১০ লাখ টাকা অজ্ঞাতবশত জমা নেওয়া হয়। ত্রাণ সংগ্রহ কমিটি ফখরুদ্দিন আহমেদের দল থেকে বহিষ্কারের সংবাদ জানার পর বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ সংগ্রহ তহবিলে তাঁর জমা করা ১০ লাখ টাকা তাঁকে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

ভালুকায় শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগ ওঠার পর ফখরুদ্দিন আহমেদকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। গত রোববার রাতে বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে ওই এলাকার শিল্পপ্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের লোকজনের নিয়ন্ত্রণ ছিল। সেখানে ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন ফখরুদ্দিন।

এদিকে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে ফখরুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে বিএনপির পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। গতকাল রাতে কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ (প্রিন্স) বাদী হয়ে ভালুকা থানায় মামলাটি করেন।

বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে ফখরুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে বিএনপির পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। গতকাল রাতে কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ (প্রিন্স) বাদী হয়ে ভালুকা থানায় মামলাটি করেন।

মামলার এজাহারে ফখরুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন কোম্পানিতে অনুপ্রবেশ করে ভয়ভীতি প্রদর্শন, অনৈতিক সুবিধা আদায় ও চাঁদাবাজির অভিযোগ করা হয়েছে। ফখরুদ্দিন আহমেদের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে ফখরুদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে ভালুকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমদ শাহ কামাল হোসেন বলেন, গতকাল রাত ১০টার দিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরে অভিযোগটি চাঁদাবাজির ধারায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।

আরও পড়ুন

মামলার বাদী সৈয়দ এমরান সালেহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই মামলার মাধ্যমে সারা দেশে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে, যত পুরোনো কিংবা ত্যাগী কর্মীই হোক না কেন, যাঁরা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবেন, ভাবমূর্তি নষ্ট করে অপকর্মে লিপ্ত থাকবেন, দলের আদেশ–নির্দেশ মানবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে দল জিরো টলারেন্সে থাকবে। শুধু সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েই এখন আর বসে থাকা হবে না, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’

সৈয়দ এমরান সালেহ আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। যার বিরুদ্ধে যে অভিযোগই উত্থাপিত হবে, সেটা যদি দলের কাছে প্রমাণিত হয়, তাহলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন