চরফ্যাশনে যুবদলের কার্যালয় ও বিএনপি সমর্থক ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানা বাজারে যুবদল কার্যালয়, বিদ্যালয়, কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও বিএনপির পাঁচ কর্মী-সমর্থককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা অংশ নেওয়ার কারণে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ থেকে ওই হামলা করা হয়েছে।
এ সম্পর্কে দক্ষিণ আইচা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রব বলেন, মাগরিবের পর তাঁরা শান্তি সমাবেশের আয়োজন করেন। সমাবেশ শেষে তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। পরে জানতে পারেন, নতুন প্রজন্মের কিছু কর্মী নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছেন। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দলের কর্মীদের কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেউ যেন বিশৃঙ্খলা না করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় দক্ষিণ আইচা বাজারে চরমানিকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ শেষে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা দক্ষিণ আইচা থানা যুবদলের অফিস, দক্ষিণ আইচা ক্যাডেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের টিনের বেড়া ও শ্রেণিকক্ষের আসবাব ভাঙচুর করেন। এ ছাড়া বিএনপির সমর্থক তিন ব্যবসায়ীর দোকার ভাঙচুর করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা হলেন মো. সোহাগ, সালাউদ্দিন ও মো. ইয়াছিন। এ সময় ব্যবসায়ী ইয়াছিনের ছেলে মো. মিশর ও বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়। স্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
দক্ষিণ আইচা থানা যুবদলের সভাপতি ইকবাল হাওলাদার বলেন, যুবদল কার্যালয়ের প্রায় ১২০টি চেয়ার, ২টি টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাব ভাঙচুর করেছে হামলাকারীরা।
দক্ষিণ আইচা ক্যাডেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ রিয়াজ উদ্দিন বলেন, হামলাকারীরা তাঁর প্রতিষ্ঠানের ১০টি বেঞ্চ ও দরজা-জানালা ভাঙচুর করেছে। তখন ক্লাস চলছিল। হামলাকারীদের তাণ্ডবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় তিনজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ আহমেদ আজ সোমবার জানান, ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।