সাজেকে কক্ষ না পেয়ে তিন শতাধিক পর্যটক রাত কাটালেন ক্লাবঘর-বারান্দায়

পাহাড় ভ্রমণের মোক্ষম সময় এখন। পর্যটক ভিড় করেছেন সাজেকে। রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রের বিজিবি হেলিপ্যাডে থেকে শনিবার সকালেছবি: সুপ্রিয় চাকমা

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে (রুইলুই ভ্যালি) কক্ষ না পেয়ে তিন শতাধিক পর্যটককে বারান্দা, ক্লাবঘর, মসজিদসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িঘরে রাত কাটাতে হয়েছে। রিসোর্ট-কটেজের সব কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে যাওয়ায় গতকাল শুক্রবার রাতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। আজ শনিবারও রিসোর্ট-কটেজের সব কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে আছে।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকালে সাজেক পর্যটনকেন্দ্রের ১১৫টি রিসোর্ট-কটেজের সব কক্ষ বুকিং হয়ে যায়। এসব কক্ষে প্রায় ৪ হাজার ২০০ পর্যটকের থাকার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু গতকাল সকালে-বিকেলে কক্ষ বুকিং না নিয়ে অন্তত চার শতাধিক পর্যটক সাজেকে বেড়াতে যান। এর মধ্যে কক্ষ না পেয়ে অনেকে ফিরে যান। সাজেকে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার জন্য তিন শতাধিক পর্যটক রাতে রয়ে যান। সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় এসব পর্যটক স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িঘরে, রিসোর্ট-কটেজের বারান্দা, প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্টোরকক্ষ ও ক্লাবঘরে যে যেভাবে পেরেছেন, রাত কাটিয়েছেন।

সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ ধরে রিসোর্ট-কটেজের কক্ষগুলো আগাম বুকিং দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে সব কক্ষ আগাম ভাড়া হয়ে যায়। এতে গতকাল বুকিং না নিয়ে যাঁরা এসেছেন, তাঁরা বিপদে পড়েছেন। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে সাজেকে পর্যটক আসতে শুরু করেন। সাপ্তাহিক ও বিশেষ ছুটির দিনগুলোতে রিসোর্ট-কটেজের সব কক্ষ ভাড়া হয়ে যাচ্ছে। গত সাপ্তাহিক ছুটিতে (১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর) সব ভাড়া হয়ে যায়। এ ছাড়া ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের ছুটিতে সব কক্ষ ভাড়া হয়ে যায়। কক্ষ না পেয়ে রুইলুই পর্যটনকেন্দ্র থেকে অনেক পর্যটক ফিরে গেছেন।

সাজেক পর্যটন এলাকা
ফাইল ছবি

সাজেক হিল ভিউ রিসোর্টের মালিক ইন্দ্রজিৎ চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, চলতি মৌসুমে গতকাল রাতে সাজেকে সর্বোচ্চ পর্যটক এসেছেন। কক্ষ বুকিং না নিয়ে অন্তত চার শতাধিক পর্যটক বেড়াতে আসেন।

কক্ষ না পেয়ে গতকাল শুক্রবার রুইলুই পর্যটনকেন্দ্র থেকে অনেক পর্যটক ফিরে চলে গেছেন। আজ শনিবার সকালের ছবি
ছবি: সুপ্রিয় চাকমা

সাজেক রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রের রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মণ প্রথম আলোকে বলেন, কক্ষ বুকিং না নিয়ে আড়াই থেকে তিন শতাধিক পর্যটক সাজেকে এসেছেন। তাঁদের ক্লাবঘর, বারান্দা, মসজিদ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকতে হয়েছে। আজও সব রিসোর্ট-কটেজের কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। যাঁরা বুকিং না নিয়ে আসবেন, তাঁদের স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি, ক্লাবঘর ও মসজিদে রাত কাটাতে হবে।

আরও পড়ুন