বকশীগঞ্জে ভোটকক্ষে সাংবাদিকদের ছবি ও ভিডিও নিতে এসি ল্যান্ডের বাধা, দিলেন হুমকি
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একটি ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের ভিডিও ধারণ ও ছবি নিতে বাধা দেওয়াসহ অসদাচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে একজন সহকারী কমিশনারের (ভূমি, এসি ল্যান্ড) বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে উপজেলার নিলাখিয়া পাবলিক কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত এসি ল্যান্ডের নাম আসমা-উল-হুসনা। তিনি বকশীগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) দায়িত্বে আছেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা বলছেন, আজ সকালে নিলাখিয়া পাবলিক কলেজ ভোটকেন্দ্রের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে ইভিএমে প্রতীক না আসার অভিযোগ করেন ভোটাররা। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার জন্য টেলিভিশনের কয়েকজন সাংবাদিক কক্ষটিতে যান। একই সময় সেখানে যান সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা-উল-হুসনা। এ সময় তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের ভিডিও ধারণ ও ছবি নিতে বাধা দেন। একপর্যায়ে অসদাচরণ করে গণমাধ্যমকর্মীদের কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। ওই গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও দেন।
দ্বিতীয় তলা থেকে ওই গণমাধ্যমকর্মীরা নিচে নেমে মাঠে এসে অন্য সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান। আসমা-উল-হুসনা প্রায় ৩০ মিনিট পর দ্বিতীয় তলা থেকে কেন্দ্রের মাঠে আসেন। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীরা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা না বলে কেন্দ্র ত্যাগ করেন।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির জামালপুর জেলা প্রতিনিধি আসমাউল আসিফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘দ্বিতীয় তলায় সাংবাদিকদের দেখেই হঠাৎ এসি ল্যান্ড উত্তেজিত হয়ে যান। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের ছবি ও ভিডিও তুলতে নিষেধ করতে থাকেন। তিনি ভোটকেন্দ্রের বাইরে থেকে ছবি তুলতে ও ভিডিও নিতে বলেন। গোপন বুথ ছাড়া কেন্দ্রের সব স্থানে ভিডিও করা যাবে বলে জানালে তিনি উত্তেজিত হয়ে আমাদের বের হয়ে যেতে বলেন এবং আইন প্রয়োগের হুমকি দেন।’
অভিযোগের বিষয়ে আসমা-উল-হুসনা প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নাই। আপনার কিছু জানার থাকলে নির্বাচনের পর অফিসে আইসেন।’
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘গোপন বুথের ভিডিও ও ছবি তোলা যাবে না। এ ছাড়া গণমাধ্যমকর্মীরা সবকিছুর ভিডিও ও ছবি তুলতে পারবেন। তবে একটি কেন্দ্রে বেশি সময় অবস্থান করতে পারবেন না। সাংবাদিকদের কাজে বাধা দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে বিষয়টি দেখা হবে।’