নাটোরে মধ্যরাতে মুদিদোকানদারকে কুপিয়ে হত্যা
নাটোরের লালপুর উপজেলায় আবদুস সালাম (৫০) নামের একজন মুদিদোকানিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়নের পূর্ব চৌষডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরপরই রক্তাক্ত হাঁসুয়া নিয়ে পালানোর সময় সাহেব আলী (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। তিনি গোধড়া গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে।
লালপুর থানার পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আবদুস সালাম পূর্ব চৌষডাঙ্গা গ্রামে একটি মুদিদোকান চালাতেন। তিনি গাঁজা বেচাকেনা করতেন বলে অভিযোগ আছে। গাঁজা বিক্রির অর্থ ভাগাভাগি নিয়ে সাহেব আলীর সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব ছিল। এর জেরে গতকাল দিবাগত রাত একটার দিকে সালামের মুদিদোকানে আগুন দেন সাহেব আলী। এ সময় সালাম দোকান থেকে বের হলে তাঁকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে সাহেব আলী রক্তাক্ত হাঁসুয়া হাতে দৌড়াতে থাকেন। তিনি গোধড়া গ্রামে পৌঁছালে স্থানীয় লোকজন তাঁকে ঘিরে ধরে আটক করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে লালপুর থানায় নিয়ে যায়।
ইউসুফ আলী নামের স্থানীয় একজন ব্যক্তি বলেন, রাতের নির্জনে আবদুস সালামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে লোকজন সাহেব আলীকে রক্ত মাখা হাঁসুয়াসহ আটক করেন।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, আবদুস সালামের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। স্থানীয় লোকজন এই খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সাহেব আলী নামের একজনকে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছেন। কী কারণে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।