চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় দলবল নিয়ে এক ভোটারকে বাড়িতে গিয়ে শাসানোর অভিযোগ উঠেছে চিকনদণ্ডী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী জহিরুল আলমের বিরুদ্ধে। এ সময় জহিরুলের সঙ্গে থাকা এক অনুসারী রামদা হাতে ওই ভোটারের দিকে বারবার তেড়ে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বড় দিঘির পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ–সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
জহিরুল আলম ইউনিয়ন বিএনপির বহিষ্কৃত সদস্য। তাঁর সঙ্গে চেয়ারম্যান পদে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি নুরুল আবসার প্রার্থী হয়েছেন। ২৮ এপ্রিল চিকনদণ্ডী ইউপির উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চেয়ারম্যান হাসান জামানের মৃত্যুতে পদটি শূন্য হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে ১০-১২ জনের একটি দল নিয়ে জামাল উদ্দিন নামের এক ভোটারের ঘরে যান জহিরুল। জামাল উদ্দিন অভিযোগ করেন, নিজ গ্রামের প্রার্থীকে বাদ দিয়ে নুরুল আবসারের পক্ষে কেন কাজ করছেন, তা জামাল উদ্দিনের কাছে জানতে চান জহিরুল। পরে এ নিয়ে কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে ঘর থেকে বেরিয়ে সড়কে এলে সেখানে জহিরুলের সঙ্গে থাকা মুহাম্মদ সাজ্জাদ নামের এক ব্যক্তি রামদা উঁচিয়ে তাঁর দিকে তেড়ে আসেন।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, হাতে রামদা উঁচিয়ে প্রতিপক্ষের সমর্থককে মারতে উদ্যত হয়েছেন সাজ্জাদ। তাঁর কোমরে আরেকটা ছুরি রাখা। তাঁকে থামানোর চেষ্টা করতে দেখা যায় এক ব্যক্তিকে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আবসার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জহিরুল আলম তাঁর দুই সমর্থকের বাড়িতে গিয়ে হামলা করেছেন। তাঁর পক্ষে কাজ না করার জন্য সমর্থক জামাল উদ্দিন (৫০) ও মুহাম্মদ আসিফকে (২৫) সাজ্জাদ শাসিয়ে গেছেন। তিনি বিষয়টি প্রশাসন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জানিয়েছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী জহিরুল আলম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, রামদা উঁচানো সাজ্জাদকে তিনি চেনেন না। ভোটারের ঘরে গিয়ে শাসানো ও হামলার অভিযোগ সত্য নয়। ভিডিওতে তাঁকে দেখা গেছে বললে তিনি বলেন, নির্বাচনের কোনো বিষয় নয়, জমিজমা–সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা–কাটাকাটি হয়েছে।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, রামদা হাতের ওই যুবককে খুঁজছে পুলিশ। ভুক্তভোগীকে মামলা করতে বলা হয়েছে।