নোয়াখালীতে কাদের মির্জার বিরুদ্ধে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিজের পছন্দের তিন প্রার্থীকে ভোট না দিলে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে নিষেধ করা এবং হুমকি-ধমকি দেওয়ার ঘটনায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান সোমবার এ অভিযোগ করেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই। আর মিজানুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন।
সোমবার দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈলের কাছে দেওয়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার বর্তমান মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বিভিন্ন ইউনিয়নে সভা-সমাবেশ করে তাঁর মনোনীত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের তিন প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। তাঁদের ভোট না দিলে ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করছেন। শুধু তাই নয়, কোনো ভোটার অন্য কোনো প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে তাঁরা কোনো ধরনের হামলার শিকার হলে এর দায় তিনি নেবেন না বলে হুমকি দিচ্ছেন।
মেয়রের এমন হুমকিতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোটারদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। আবদুল কাদের মির্জা ছাড়াও তাঁর অনুগত চর এলাহী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক, চর ফকিরার ইউপি চেয়ারম্যান জায়াদল হক, রামপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজিস সালেকিন, মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী, সিরাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন ও তাঁদের কর্মীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছেন।
মিজানুর আরও অভিযোগ করেন, ‘আবদুল কাদের মির্জা তাঁর সশস্ত্র ক্যাডারদের নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁকে যেন কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচারে নামার সুযোগ না দেওয়া হয়। এ পরিস্থিতিতে আমি এবং আমার ভোটারেরা সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে চরমভাবে উদ্বিগ্ন।’
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য আবদুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল। সোমবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে তিনি বলেন, দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমানের লিখিত অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।