ব্লগার অনন্ত হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া আসামির বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন
সিলেটের বিজ্ঞানলেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ (৩২) হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া এক আসামির বিরুদ্ধে আপিল করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি মুমিনুর রহমান টিটু এ আবেদন করেন।
জেলা প্রশাসকের পক্ষে আবেদন গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইমরুল হাসান। এ সময় সিলেটের সাবেক সরকারি কৌঁসুলি মিসবাহ উদ্দিন ও অনন্ত বিজয়ের দুলাভাই সমর বিজয় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ৩০ মার্চ অনন্ত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব। ছয় আসামির মধ্যে একজন মারা যাওয়ায় তাঁকে অব্যাহতি দেন আদালত। অপর পাঁচ আসামির মধ্যে চারজনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া সিলেট নগরের রিকাবিবাজার এলাকার শফিউর রহমান ফারাবী ওরফে ফারাবী শফিউর রহমানকে আদালত খালাস দেন।
যোগাযোগ করলে সরকারি কৌঁসলি মুমিনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, রায় ঘোষণার পর যাবতীয় কাগজপত্র উচ্চ আদালতে চলে গেছে। তবে একজন আসামি খালাস পাওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর অংশ হিসেবে নিয়ম অনুযায়ী জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়েছে। এখন জেলা প্রশাসক উচ্চ আদালতের রেজিস্ট্রার বরাবরে এ আবেদন পাঠাবেন। এ প্রক্রিয়া শেষ হলে রাষ্ট্রপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবে।
২০১৫ সালের ১২ মে সিলেট নগরের সুবিদবাজারের নুরানি আবাসিক এলাকায় নিজ বাসার সামনে খুন হন পেশায় ব্যাংকার অনন্ত বিজয়। তিনি বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখির পাশাপাশি ‘যুক্তি’ নামে বিজ্ঞানবিষয়ক একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। এ ছাড়া বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মহানগরের বিমানবন্দর থানায় অনন্তের বড় ভাই একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলার অভিযোগপত্রে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মান্নান ইয়াইয়া ওরফে মান্নান রাহী ওরফে এ বি মান্নান ইয়াইয়া ওরফে ইবনে মঈন (২৪) মারা যাওয়ায় আদালত তাঁকে অব্যাহতি দেন।
এ সময় আদালত সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার আবুল হোসেন (২৫) ও খালপাড় তালবাড়ির ফয়সাল আহমদ (২৭), ফালজুর গ্রামের আবুল খায়ের রশীদ আহমদ (২৫) এবং সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বীরেন্দ্রনগরের (বাগলী) মামুনুর রশীদকে (২৫) মৃত্যুদণ্ড দেন। তবে আবুল খায়ের রশীদ আহমদ ছাড়া মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অপর তিনজন পলাতক আছেন।