পলিশ করা চকচকে চাল আর বাজারে থাকবে না: খাদ্যমন্ত্রী

নওগাঁর পোরশায় কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। আজ দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চালের পুষ্টিমান ঠিক রাখতে পলিশ করা চকচকে চাল বাজারজাত বন্ধে আইন করা হয়েছে। খুব শিগগির এটি বাস্তবায়ন করা হবে। পলিশ করা চকচকে চাল আর বাজারে থাকবে না।

আজ সোমবার দুপুরে নওগাঁর পোরশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এ কথা বলেন। কৃষিপ্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন, ঢেউটিন বিতরণ ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে এ সভা আয়োজন করা হয়।

আরও পড়ুন

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমরা এক কেজি চালও আমদানি করিনি। বরং বিদেশে বেশ কিছু পরিমাণ সুগন্ধি চাল রপ্তানি করা হয়েছে। এখন আমরা পুষ্টির ওপর জোর দিচ্ছি। বাজারে আমরা পলিশ করা যে চকচকে চাল পাই, সেটাতে কোনো পুষ্টিগুণ পাই না। পলিশ করা চকচকে চাল বাজারজাত বন্ধে আইন হয়েছে। খুব শিগগির এটি বাস্তবায়ন করা হবে। পলিশ করা চকচকে চাল আর বাজারে থাকবে না।’

আরও পড়ুন

খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, নতুন আইন অনুযায়ী ধান থেকে চাল করার সময় সর্বোচ্চ দুই ছাঁটাই দেওয়া যাবে। চাল বেশি পরিমাণে ছাঁটাই করলে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া অনেক চাল অপচয় হয়ে যায়। ছাঁটাই কম করা হলে ১৭ থেকে ১৮ মেট্রিক টন চাল সাশ্রয় হবে।

বর্তমান সরকার কৃষির যান্ত্রিকীকরণের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আগে হাল দিয়ে জমি চাষ হতো, এরপর এল পাওয়ার টিলার। এখন ধান কাটা–মাড়াই মেশিনসহ আরও আধুনিক প্রযুক্তি এসেছে। সরকার কৃষি প্রণোদনা দিয়ে কৃষিকে সম্পূর্ণভাবে যান্ত্রিকীকরণের প্রয়াস চালাচ্ছে। বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ। বন্যা, খরা লেগেই থাকে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। এ জন্যই কৃষির যান্ত্রিকীকরণ আরও বেশি প্রয়োজন।

আরও পড়ুন

পোরশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফ আদনানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ, পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিয়ার রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল খালেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন