মানিকগঞ্জে সিন্দুকে নারীর লাশ, ছেলের বউসহ গ্রেপ্তার ২

লাশপ্রতীকী ছবি

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর পৌর এলাকায় হায়াতুন নেছা (৬২) নামের এক নারীর লাশ পাওয়া গেছে সিন্দুকে। গতকাল রোববার রাতে সিঙ্গাইর পৌর এলাকার নয়াডাঙ্গী গ্রামের একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে করা মামলায় নিহত নারীর ছেলের বউ ও বেয়ানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত হায়াতুন নেছা নয়াডাঙ্গী গ্রামের মাহমুদ কাজীর স্ত্রী। গ্রেপ্তার দুই নারী হলেন নয়াডাঙ্গী গ্রামের সৌদি আরবপ্রবাসী আবদুল খালেকের স্ত্রী রুনা আক্তার (২৮) ও রুনার মা রেণুকা বেগম (৫০)।

সিঙ্গাইর থানা-পুলিশ, নিহত ব্যক্তির স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হায়াতুনের ছেলে খালেক সৌদি আরবে থাকেন। গ্রামের বাড়িতে তাঁর মা ও স্ত্রী থাকেন। ছেলের বউ রুনা পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন, এমন অভিযোগ নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এ নিয়ে গত শনিবার সন্ধ্যায় বউ ও শাশুড়ির ঝগড়া হয়। গতকাল সকালে রুনা বাড়ি থেকে চলে যান। পরে সন্ধ্যার দিকে মা রেণুকা বেগমকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে আসেন রুনা।

হায়াতুন নেছার কোনো খোঁজ না পাওয়ায় রুনাকে দেখে আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা তাঁর সম্পর্কে জানতে চান। একপর্যায়ে রুনা বলেন, ঘরের ভেতরের স্টিলের সিন্দুকে তাঁর শাশুড়ির লাশ আছে। পরে সিন্দুকের তালা ভেঙে লাশ দেখতে পান প্রতিবেশীরা। এ সময় রুনা ও তাঁর মাকে আটক করেন এলাকাবাসী। রাত আটটার দিকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। আটক দুজনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন এলাকাবাসী।

এ ঘটনায় আজ সোমবার সকালে নিহত হায়াতুন নেছার এক স্বজন বাদী হয়ে রুনা ও তাঁর মাসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় তাঁদের দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সিঙ্গাইর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোশারফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘পরকীয়া সম্পর্কে’ বাধা দেওয়ায় ছেলের বউ শাশুড়িকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ সিন্দুকে রেখে দেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আজ দুপুরে গ্রেপ্তার দুই আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।