কালকিনিতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্ধশত পরিবারকে এলাকাছাড়া করার অভিযোগ
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্ধশত পরিবারকে দুই মাস ধরে এলাকাছাড়া করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার মাদারীপুর সদরে সংবাদ সম্মেলনের এ অভিযোগ জানানো হয়েছে।
ওই ইউপি চেয়ারম্যানের নাম মোস্তাফিজুর রহমান (সুমন)। একটি সাংবাদিক সংগঠনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পক্ষে অভিযোগটি তুলে ধরেন বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশগাড়ি নয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা কৃষক নজরুল ইসলাম।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ‘এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কোনো সংঘর্ষের সঙ্গে আমি বা আমার কোনো লোক জড়িত নয়। আমার এলাকায় কেউ বাড়িছাড়া হয়েছেন, এমন কোনো ঘটনাও নেই। একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ ধরনের অভিযোগ দিচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই মাস আগে চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে ইউপি সদস্য আকতার শিকদারের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। এর জেরে মোস্তাফিজুরের প্ররোচনায় মহিউদ্দিন লাটু ব্যাপারী, আমিনুল মৃধা, নিজাম আকন, আলী সরদারসহ কয়েকজন সহযোগী আকতার শিকদারের লোকজনের ওপর হামলার পাশাপাশি তাঁদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালান। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি।
নজরুল ইসলামের দাবি, গত ১১ সেপ্টেম্বর মোস্তাফিজুরের লোকজন একযোগে তিনিসহ অর্ধশত পরিবারের ওপর আবার হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুর চালান। পরে ভুক্তভোগীরা বাধ্য হয়ে আদালতে চারটি মামলা করেন। মামলাগুলো বর্তমানে কালকিনি থানা-পুলিশের কাছে তদন্তাধীন। ঘটনার পর এলাকাছাড়া পরিবারগুলো।
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘চেয়ারম্যানের প্রভাবে আমিসহ আমাদের বংশের ৫০টি পরিবার এলাকায় যেতে পারছি না। এলাকায় গেলেই হামলার শিকার হতে হয়। আমরা এলাকায় ফিরতে চাই। আমরা এর সমাধান চাই।’
মামলাগুলো পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানান কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।