গাইবান্ধা–৫ আসনে বেসরকারিভাবে জয়ী নৌকার মাহমুদ হাসান

মাহমুদ হাসান

আলোচিত গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের (পুনর্ঘোষিত) উপনির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হাসান (রিপন) জয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীকের এই প্রার্থী ৭৬ হাজার ১৫ ভোট পেয়েছেন । তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (জাপা) গোলাম শহীদ (লাঙ্গল প্রতীক) পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৯৫৯ ভোট।

বুধবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে। ওই সময় পর্যন্ত ১৪০টি কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়া গেছে।

এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। তীব্র শীতের কারণে কেন্দ্রগুলোয় ভোটারের উপস্থিতি কম ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ভোট গ্রহণ শেষ হয় বিকেল সাড়ে চারটায়।

আরও পড়ুন

এ আসনে ইভিএমে ১৪৫টি কেন্দ্রে ৯৫২টি বুথে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকায় ৯টি কেন্দ্রে জেনারেটর ব্যবহার করা হয়েছে। মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮ জন।

উপনির্বাচনে আরও তিন প্রার্থী হলেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম (কুলা প্রতীক) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মো. মাহবুবুর রহমান (ট্রাক প্রতীক) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল প্রতীক) ভোট কারচুপির আশঙ্কা প্রকাশ করে আগেই ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর বুধবার বিকেলে ঢাকায় নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, উপনির্বাচনে শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খল ও সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ধীরগতি ছিল না, কোনো অভিযোগও উত্থাপিত হয়নি।

আরও পড়ুন

নির্বাচনে সব কটি ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। ঢাকায় বসে নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ইসি। সিইসি বলেন, ভোটার উপস্থিতি ৩৫ শতাংশের কমবেশি হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহ ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার একটি কারণ হতে পারে।

জাতীয় সংসদের প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া এ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। গত বছরের ২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে ১২ অক্টোবর উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

১২ অক্টোবর ভোট গ্রহণের মাঝপথে নির্বাচন বন্ধ করে দেয় ইসি। ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মোট পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে চারজন ভোট বর্জন করেন। এরপর সিসিটিভি ক্যামেরায় অনিয়ম দেখে সিইসি প্রথমে ৫১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত এবং পরে উপনির্বাচন বন্ধ করেন।

অনিয়মের তদন্তে পরদিন ১৩ অক্টোবর ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়। কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর আবার ৪ জানুয়ারি উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়।

আরও পড়ুন