লালপুরে আওয়ামী লীগ নেতা মনজুর হত্যা মামলায় চারজন কারাগারে
নাটোরের লালপুরে আওয়ামী লীগ নেতা মনজুর রহমান হত্যা মামলার আসামি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য লিটন হোসেনসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার আদালতের বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ওই চারজন হলেন বিজিবি সদস্য ও লালপুর উপজেলার শিবপুর খাঁ পাড়ার বাসিন্দা লিটন হোসেন, গোপালপুর কেবিনপাড়ার মো. রবিউল (৪৪), শিবপুর কলেজ পাড়ার তমাল হোসেন (২২) ও বিরোপাড়ার মো. সুমন (২৮)। এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি টুমন হোসেন পলাতক।
লালপুর থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে লালপুরের গোপালপুর স্টেশন মসজিদের পাশের একটি কনফেকশনারি দোকানের সামনে মনজুর রহমানের বুকে ও মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে পুলিশ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত থেকেই এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করে।
এ ঘটনায় গতকাল বুধবার বিকেলে নিহত মনজুর রহমানের ভাই ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুদ রানা বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ বলেন, হত্যা মামলাটির প্রধান আসামি টুমন হোসেনের সঙ্গে মনজুর রহমানের দীর্ঘদিন ধরে এলাকার প্রভাব বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জেরেই মনজুরকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার লিটন হোসেন বিজিবি সদস্য। তিনি ছুটি নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হলেও তাঁর ভাই টুমন হোসেন পালিয়ে গেছেন।
এদিকে পাল্টা হামলার আশঙ্কায় গোপালপুর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গুলিতে নিহত মনজুর রহমান গোপালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন। সম্প্রতি সভাপতি পদে নির্বাচন করে তিনি হেরে যান। তিনি নাটোর-১ আসনের সংসদ সদদ্য আবুল কালাম আজাদের সমর্থক ছিলেন। তিনি ২০১৮ সালে যুবলীগ নেতা জাহারুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি। জাহারুল ইসলাম সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলামের অনুসারী ছিলেন।