গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী নিহতের ঘটনার ভোলায় পুলিশের মামলা, ফরিদপুরে প্রতিবাদ
ভোলা সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের সময় গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবদুর রহিম নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে ফরিদপুর জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর শহরের কোর্ট চত্বর এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এদিকে ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে রোববার রাতে ভোলা সদর থানায় দুটি মামলা করেছে। দুটি মামলায় ৭৫ ও অজ্ঞাতনামা পাঁচ শতাধিক জনকে আসামি করা হয়েছে।
লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ চলাকালে রোববার বেলা ১১টার দিকে ভোলা জেলা সদরের মহাজনপট্টিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় গুলিতে নিহত হন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবদুর রহিম। এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার ফরিদপুর শহরের মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ফরিদপুর মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্স স্কুলের সামনে থেকে শুরু হয়ে সোনালী ব্যাংক কোর্টপাড়া শাখা, রেজিস্ট্রি অফিসের পেছন দিয়ে কোর্ট এলাকার স্বাধীনতা চত্বরে আসে। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার জগদ্দল পাথরের মতো জাতির কাঁধে চেপে বেসে আছে। রাতের আঁধারে ভোট করা সরকারের জনগণের প্রতি কোনো ভালোবাসা নেই। তাদের একটাই লক্ষ্য, যেকোনোভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকা। এ সরকারের পতন ছাড়া জাতির মুক্তি নেই।
এদিকে ভোলা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছেন। একটি মামলায় পুলিশ সদস্য পিটিয়ে জখম ও অপর মামলায় পথচারী হত্যার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। এখন পর্যন্ত দুটি মামলায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এসব তথ্য জানিয়েছেন ভোলার পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আবদুর রহিমের লাশ ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। ভোলার গোরস্থান জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে লাশের গোসল করানো হয়। জোহরবাদে পুলিশি পাহারায় একই স্থানে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা লাশ মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান। নিহত রহিমের স্ত্রী বিবি খাদিজা বলেন, এ ঘটনায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।