অস্ত্র ধরে জমি লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগে রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ সোমবার চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা ইয়াসমিনের আদালতে মামলাটি করেন রাউজান ফরেস্ট বিট খামারবাড়ির বাসিন্দা ইসলাম মিয়া।
বাদীর আইনজীবী মেজবাহ উল আলম প্রথম আলোকে বলেন, আদালত বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে রাউজান থানা-পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন ফজলে করিমের দুই ছেলে ফারাজ করিম ও ফারহান করিম, রাউজান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন, তাঁর সহযোগী জসিম উদ্দিন, মিজানুর রহমান, মো. লোকমান, মো. নাছির ও বেদারুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, বাদী ও তাঁর ভাই আবুল হাশেমের পৈতৃক সম্পত্তি ফজলে করিম তাঁর দুই ছেলের নামে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিবন্ধন করে নেন। দিতে না চাইলে বাদীর ভাই আবুল হাশেমকে তিন দিন ফজলে করিমের বাগানবাড়িতে আটকে রাখেন। জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেন পাসপোর্টও। জমি লিখে না দিলে তাঁদের মেরে ফেলার হুমকি দেন। ২০১৯ সালের ১২ জুন বাদী ও তাঁর ভাই বাধ্য হয়ে তাঁদের ২৮৫ শতক জমি নিবন্ধন দিয়ে দেন। এরপর বিষয়টি কাউকে জানালে তাঁদের মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। তাই এত দিন তাঁরা ভয়ে কাউকে কিছু জানাননি।
১২ সেপ্টেম্বর সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তের আবদুল্লাহপুর এলাকা থেকে ফজলে করিমসহ তিনজনকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ফজলে করিম আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে বিজিবি জানিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে মামলা হয়েছে ১০টি। এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আনা হয় চট্টগ্রামে। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে তাঁকে গত বৃহস্পতিবার আনা হয় হেলিকপ্টারে করে। বর্তমানে কারাগারে থাকা ফজলে করিমকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানির জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।