দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় বিএনপির আহত নেতার মৃত্যু
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম আবদুল মতিন ওরফে তোতা (৬৫)। তিনি উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান।
আজ শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে আবদুল মতিনের মৃত্যু হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার কোম্পানীগঞ্জের চরএলাহী বাজারে তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেছিলেন।
নিহত আবদুল মতিনের বড় ছেলে মো. ইব্রাহীম বলেন, মঙ্গলবার রাতে তাঁর বাবা চরএলাহী বাজারে ব্যক্তিগত কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান এবং চরএলাহী ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জনের একটি দল তাঁর বাবার ওপর হামলা করে। হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে তাঁর বাবাকে আহত করেন। পরে একই বাজারে তাঁর ভগ্নিপতির দোকানেও হামলা-ভাঙচুর করা হয়।
নিহত আবদুল মতিনের জামাতা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ওই রাতে এলাকায় ত্রাণ বিতরণ উপলক্ষে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে মিছিল হয়। মিছিল শেষে তাঁর শ্বশুরকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপি নেতা আবদুল মতিনের লোকজন ২৩ আগস্ট দুপুরের দিকে চরএলাহীর চর ল্যাংটা ঘাট দখল করে নেন। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকের ভাই ও ভগ্নিপতির বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আবদুল মতিনের ওপর পাল্টাহামলা করা হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বক্তব্য জানতে তাঁদের মুঠোফোনে কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আবদুল মতিনের মৃত্যুর খবরে তাঁরা আত্মগোপনে রয়েছেন।
জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রণব চৌধুরী বলেন, দলের প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হন বিএনপি নেতা আবদুল মতিন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।