তৃতীয় হয়েছেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মুবিন চৌধুরী
সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ) আসনে অংশ নেওয়া ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মুবিন চৌধুরী হেরে গেছেন। তৃতীয় হয়েছেন তিনি। অথচ আওয়ামী লীগের প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও দলটির স্থানীয় একটা অংশ দলের ‘ওপর মহলের’ চাপে প্রকাশ্যে শমসেরের প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন। এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।
বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, নৌকা প্রতীকে নুরুল ইসলাম নাহিদ পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৭৭৮ ভোট। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সরওয়ার হোসেন ঈগল প্রতীক নিয়ে ৩৯ হাজার ৪৮৮ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। আর সোনালী আঁশ প্রতীকের শমসের মুবিন চৌধুরী ১০ হাজার ৯৩৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিন (লাঙ্গল) ৫ হাজার ৫৭৯ ভোট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আতাউর রহমান (ছড়ি) ১৬৯ ভোট এবং ইসলামী ঐক্যজোটের সাদিকুর রহমান (মিনার) ৬২২ ভোট পেয়েছেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘ওপরের’ নির্দেশে শমসের মুবিন চৌধুরীকে জেতাতে গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি অংশ প্রকাশ্যে সরব ছিলেন। এ অবস্থায় অনেকের মনে ধারণা ছিল, শমসের মুবিন চৌধুরীকে ‘জিতিয়ে নেওয়া’ হবে। তবে শেষ পর্যন্ত এমন কিছুই ঘটেনি।
আসনটিতে এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো জয় পেলেন নুরুল ইসলাম নাহিদ। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হন তিনি। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর টানা দুই দফা শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
অন্যদিকে গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা শমসের মুবিন চৌধুরী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন। ২০১৮ সালের ৮ ডিসেম্বর বিকল্পধারা বাংলাদেশে যোগ দিয়ে পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হন। গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিকল্পধারার মনোনয়নে সিলেট-৬ আসনে প্রার্থী হন।
তবে পরে নুরুল ইসলাম নাহিদকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন।
ফলাফলের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে শমসের মুবিন চৌধুরীর মুঠোফোনে কল করলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন পাওয়া যায়। তাই তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।