ফরিদপুরে বন্ধুর বাসা থেকে রিকশাচালকের বস্তাবন্দী গলাকাটা লাশ উদ্ধার

ফরিদপুরে হত্যাকাণ্ডের শিকার হালিম শেখ
ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরে নিখোঁজের চার দিন পর বন্ধুর ভাড়া বাসা থেকে হালিম শেখ (২৫) নামের এক রিকশাচালকের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার বেলা দেড়টার দিকে শহরের লক্ষ্মীপুর মহল্লার মডেল টাউন এলাকার একটির বাড়ির রান্নাঘরের পেছন থেকে লাশটি উদ্ধার করেছে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত ব্যক্তির মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল এবং গলা কাটা ছিল। তাঁর দুই পা ভাঁজ করে একটি প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে সমগ্র শরীর ঢুকিয়ে তাঁকে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছিল।

নিহত হালিম শেখ ফরিদপুর শহরের মধ্য আলিপুর মহল্লার মৃত আব্দুর রব শেখের ছেলে। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে হালিম শেখ মেজ। হালিমের বোন সাথী আক্তার জানান, তাঁর ভাই হালিম রিকশা চালাতেন। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বাড়ি থেকে রিকশা নিয়ে বের হওয়ার পরে আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে ৩ জানুয়ারি তিনি ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। যে বাড়ি থেকে আজ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, ওই বাড়িতে হালিমের বন্ধু রনি (২৬) ও তাঁর স্ত্রী সুমি (২৩) ভাড়া থাকেন। ওই বাড়ির মালিক ফরিদপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা মোকলেছুর রহমান।

বাড়ির মালিক মোকলেছুর রহমান জানান, রনি ও তাঁর স্ত্রী দেড় মাস আগে এই বাড়ি ভাড়া নেন। বাড়ি ভাড়া নেওয়ার সময় তাঁরা স্বামী-স্ত্রী ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ওয়ার্ডবয়ের কাজ করেন বলে জানিয়েছিলেন।

পুলিশ জানায়, প্রথমে হালিমের রিকশাটি তাঁর বন্ধু রনির ভাড়া বাড়ির উঠানে একটি টিনের ঘর থেকে ভাঙাচোরা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে ওই টিনের ঘরের পূর্ব দিকে টিনের বেড়ার পাশে বালু খুঁড়ে বস্তাবন্দী অবস্থায় হালিমের লাশ উদ্ধার করা হয়।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটনে কাজ চলছে। নিহত হালিমের বন্ধু রনি পালিয়ে গেলেও তাঁর স্ত্রী সুমি বেগম বাড়িতে ছিলেন। সুমি বেগম দরজা খোলাসহ পুলিশের কাজে সহযোগিতা করেননি, বরং বাধা দিয়েছেন। আমরা সুমি বেগমসহ দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় নিয়ে এসেছি। সুমি বেগম জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী হাসপাতালে কাজের পাশাপাশি রিকশা চালাতেন। এই সূত্রে নিহত হালিমের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল। এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’