দলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতেই পদত্যাগ করেছি: এবি পার্টির সাবেক আহ্বায়ক
‘বাইরে গণতন্ত্রের কথা বলে নিজের দলেই গণতন্ত্র বজায় রাখলাম না, এটা হতে পারে না। দলের ভেতরেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতেই আমি আহ্বায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। আগামী ডিসেম্বরে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সম্মেলন হওয়ার কথা আছে। এতে আমি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। নির্বাচনকে পক্ষপাতমুক্ত রাখার জন্য আহ্বায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। এখন কাউন্সিলররা আমাকে ভালো মনে করলে ভোট দেবেন, নতুন করে চেয়ারম্যান বানাবেন।’
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লা নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন এবি পার্টির সাবেক আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী।
আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, ‘আমরা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক দল গঠন করেছি। আমরা রাষ্ট্রের সমস্যাগুলোর সমাধানমূলক কাজ করব। তবে আমাদের দল জামায়াতের অংশ নয়। তাদের নীতি কিংবা আদর্শের সঙ্গে আমাদের কোনো মিল নেই। এবি পার্টি একটি গণতান্ত্রিক দল, আমরা জামায়াতের কোনো সংস্কারপন্থী দল নই।’
মজিবুর রহমান বলেন, ‘পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বলেছি ১৮ মাস কিংবা ২৪ মাসের মধ্যে সংস্কারকাজগুলো সম্পন্ন করে নির্বাচন দিতে হবে। আমরা একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার চাই তাদের কাছে।’
ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে তাঁদের রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হয়নি বলে উল্লেখ করে মজিবুর রহমান বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। বিজয় অর্জন সহজ, কিন্তু বিজয়কে ধরে রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়া কঠিন। এখন আমাদের বড় দায়িত্ব সামনের দিকের চ্যালেঞ্জ সঠিকভাবে পরিচালনা করা। এখন ছাত্র ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কার অবদান বেশি, এ নিয়ে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। তবে আমরা বলতে চাই, সব টানাপোড়েন বাদ দিয়ে আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ দেখতে চাই।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। উপস্থিত ছিলেন পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল উদ্দীন ও দিদারুল আলম, যুগ্ম সদস্যসচিব জুবায়ের আহমেদসহ এবি পার্টির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
মতবিনিময় সভা শেষে এবি পার্টির কুমিল্লা জেলা ও মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কুমিল্লা জেলায় মিয়া মো. তৌফিককে আহ্বায়ক, আবদুল কাইয়ুমকে সদস্যসচিব ও আবু সালেহ মো. মাসুদকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। আর কুমিল্লা মহানগরে গোলাম মোহাম্মদ সামদানীকে আহ্বায়ক, ওমর ফারুক সোহাগকে যুগ্ম আহ্বায়ক, আবু সাইদকে সদস্যসচিব ও ইসমাইল হোসেনকে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।