খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়: হত্যা ও নিপীড়নের প্রতিবাদে শিক্ষকদের মানববন্ধন
কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীসহ নিরপরাধ জনসাধারণ হত্যা ও নিপীড়নের প্রতিবাদে এবং বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও মৌনযাত্রা করেছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষকেরা। ‘সাধারণ শিক্ষকবৃন্দ’–এর ব্যানারে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্তম্ভ ‘দুর্বার বাংলা’ চত্বরে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক হেলাল আন নাহিয়ানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহাজান আলী, ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন কৌশল বিভাগের অধ্যাপক শেখ শরিফুল আলম, মানবিক বিভাগের অধ্যাপক রাজিয়া খাতুন, পুরকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মীর আবদুল কুদ্দুস প্রমুখ।
আমাদের সবার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমরা শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। সেই জায়গা থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সব হত্যার নিরপেক্ষ বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।হেলাল আন নাহিয়ান, যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক
হেলাল আন নাহিয়ান বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তাদের নির্যাতন করা হচ্ছে—এসবের প্রতিবাদে আজ আমরা দাঁড়িয়েছি কুয়েটের সাধারণ শিক্ষকদের পক্ষ থেকে। আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখেছি, শিক্ষার্থীসহ নিরপরাধ মানুষের ওপর প্রকাশ্য দিনের আলোয় নির্মমভাবে গুলি চালানো হয়েছে। রাস্তায় পড়ে শিক্ষার্থীরা নিহত হয়েছেন, বাসার ছাদে শিশু নিহত হয়েছে, বারান্দায় দাঁড়িয়ে গৃহিণী নিহত হয়েছেন। আর এখন নির্বিচার গণহারে শিক্ষার্থীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
হেলাল আন নাহিয়ান আরও বলেন, ‘আমাদের সবার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমরা শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। সেই জায়গা থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সব হত্যার নিরপেক্ষ বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। শিক্ষার্থীদের যেভাবে তুলে নেওয়া হচ্ছে থানায়, এটা কোনোভাবেই কল্যাণকর রাষ্ট্রের চরিত্র হতে পারে না।’
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন কৌশল বিভাগের অধ্যাপক শেখ মো. রবিউল ইসলাম, গণিত বিভাগের অধ্যাপক বি এম ইকরামুল হক, যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক আশরাফুল ইসলাম, একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফাহিম ইসলাম প্রমুখ।
মানববন্ধন শেষে শিক্ষকেরা মৌনযাত্রা সহকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রদক্ষিণ করে দুর্বার বাংলার পাদদেশে এসে কর্মসূচি শেষ করেন।