কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে নির্যাতনের শিকার হয়ে ক্যাম্পাস ছাড়া সেই ছাত্রী এক সপ্তাহ পর আজ হলে ফিরেছেন। নির্যাতনের ঘটনায় হল প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষ্য দিতে বাবার সঙ্গে হলে এসেছেন তিনি।
আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বাবা ও মামার সঙ্গে আসেন ওই ছাত্রী। এরপর তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গাড়িতে করে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে নেওয়া হয়।
হলটির প্রাধ্যক্ষ শামসুল আলম আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পর ওই ছাত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন তিনি। ওই কমিটি আজ হলের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ডেকে পৃথকভাবে ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হলেন ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক আহসানুল হক। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন হলের আবাসিক শিক্ষক, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইসরাত জাহান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারে অধ্যাপক মৌমিতা আক্তার এবং হলের শাখা কর্মকর্তা সহকারী রেজিস্ট্রার আবদুর রাজ্জাক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে গত রোববার রাতে সাড়ে চার ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ করেছেন প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রী। ভুক্তভোগী ছাত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরীর নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা নির্যাতন চালিয়েছেন। নির্যাতনের সময় তাঁকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল এবং এই ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ওই ছাত্রী গত বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর, হলের প্রভোস্ট ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন।