হাঁড়িভাঙা আম পাড়ার সময় এগোল, বাজারে মিলবে শনিবার থেকে
প্রচণ্ড দাবদাহে নির্ধারিত সময়ের আগে পাকতে শুরু করেছে রংপুরের হাঁড়িভাঙা আম। আমচাষিদের দাবির মুখে নির্ধারিত সময়ের ১০ দিন আগে আম পাড়া মৌসুম শুরু হচ্ছে। আগামী শনিবার থেকে বাজারে পাওয়া যাবে হাঁড়িভাঙা আম। এবার ২৫০ কোটি টাকার হাঁড়িভাঙা আম বেচা-বিক্রি হতে পারে বলে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ও চাষিদের ধারণা।
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ, পদাগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপকভাবে হাঁড়িভাঙা আমের চাষ হয়ে আসছে। ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে এসব বাগান। চাষিদের নিবিড় পরিচর্যায় বাগানের গাছগুলোয় শেষবারের মতো পরিচর্যা চলছে। চাষিরা বলছেন, অন্যবারের চেয়ে এবার আমের ফলন ভালো হয়েছে। তবে দাবদাহে নির্ধারিত সময় ২০ জুনের অনেক আগেই আম পাকতে শুরু করেছে।
হাঁড়িভাঙা আমচাষি পরিষদের সভাপতি আবদুস সালাম সরকার বলেন, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তাঁরা জেলা প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন ২০ জুনের পরিবর্তে ১০ জুন বাজারজাত করা শুরু করার। প্রশাসন আবেদনটি বিবেচনায় নিয়েছে।
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের আমচাষি আবদুস সালামের ১৬ একর জমিতে আমবাগান। তিনি বলেন, গরমে এবার আম আগেই পাকতে শুরু করে। আম পাড়ার সময় এগিয়ে আনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আমবাগান কেনার বেশ চাহিদা দেখা যাচ্ছে।
পদাগঞ্জ এলাকার আমচাষি আরিফ মিয়া বলেন, ‘গরম হলেও ঝড় হয়নি। এবার আম আকারে ছোট হয়েছে। এর মধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাগান কিনতে পাইকারি ব্যবসায়ীরা আসছেন। দরদাম করছেন।’
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডল বলেন, এ বছর ১ হাজার ৯০৫ হেক্টর জমিতে হাঁড়িভাঙা আমের বাগান। গত বছর এই বাগানের আকার ছিল ১ হাজার ৮৮৭ হেক্টর। এবার প্রায় ২৫০ কোটি টাকার হাঁড়িভাঙা আম বিক্রি হতে পারে।
এদিকে হাঁড়িভাঙা আম দেশ-বিদেশে সরবরাহের জন্য প্লাস্টিকের ক্রেট, সুতলি, খাঁচা, পেপারসহ আনুষঙ্গিক জিনিস কেনাবেচা শুরু হয়েছে। আম বহনের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামও বেড়ে গেছে। ৮০-১০০ টাকার ক্রেট ১৫০-২০০ টাকা হয়েছে। বেড়েছে সুতলি ও পেপারের দামও।
রংপুরের জেলা প্রশাসক চিত্রলেখা নাজনীন বলেন, হাঁড়িভাঙা আমচাষিদের দাবির কারণে ১০ জুন থেকে এই আম বাজারজাত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।