পদ্মায় গোসলের সময় রাসেলস ভাইপার দেখে পিটিয়ে হত্যা
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীর পাড়ে একটি রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ দেখতে পেয়ে পিটিয়ে মেরেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল সোমবার বিকেলে দৌলতদিয়ার ৩ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় নদীতে গোসল করতে নেমে সাপটি দেখতে পান স্থানীয় কয়েকজন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের দাবি, প্রায় তিন ফুট লম্বা সাপটি বিষধর রাসেলস ভাইপার বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরে মৃত সাপটি পদ্মা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও গোয়ালন্দ পৌর এলাকার বাসিন্দা শুকুর আলী মোল্লা বলেন, ওই ফেরিঘাটের পন্টুনের অদূরে গোসল করছিলেন কয়েকজন। এমন সময় একটি সাপকে নিজেদের দিকে সাঁতরে আসতে দেখে সবাই চিৎকার দিয়ে নদীর তীরে উঠে আসেন। পরে সাপটিও নদী থেকে তীরে উঠে পড়ে। এটি দেখে তাৎক্ষণিকভাবে কয়েকজন সাপটিকে লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করেন। সাপটির শারীরিক বৈশিষ্ট্য রাসেলস ভাইপারের সঙ্গে মিলে গেছে।
এটি যে রাসেলস ভাইপার, তা কীভাবে বুঝলেন—জানতে চাইলে বিপ্লব শেখ নামের এক তরুণ বলেন, ‘প্রতিদিন ফেসবুক ও ইন্টারনেট দেখছি। রাসেলস ভাইপার এখন আতঙ্কের নাম। বিষধর এমন সাপ দেখে আমরা চারজন মিলে পিটিয়ে মেরে ফেলি। ফেরিঘাট সড়কের মাথায় মাটি খুঁড়ে সাপটি পুঁতে রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু স্থানীয় মুরব্বিরা বারণ করায় সাপটিকে ফেরির ওপর থেকে পদ্মা নদীতে ফেলে দিই।’
পদ্মাপারের মানুষ এমনিতেই ভাঙনের আতঙ্কে আছে। তার ওপর নতুন করে যোগ হয়েছে রাসেলস ভাইপারের আতঙ্ক। আমরা দৌলতদিয়াবাসী এখন কোথায় যাব। সবাইকে আরও বেশি সতর্ক হয়ে সাবধানতার সঙ্গে চলাচলের পরামর্শ দিচ্ছি।দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান মণ্ডল
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী তরুণ শামীম কাজী বলেন, ‘আমরা মাঝেমধ্যে পদ্মা নদীতে গোসল করতে যাই। কিন্তু আজ রাসেলস ভাইপার দেখে সবার মনে ভয় ঢুকে গেছে। কখন জানি আবার রাসেলস ভাইপার বাড়িতে উঠে আসে!’
সাপটিকে রাসেলস ভাইপার দাবি করে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান মণ্ডল বলেন, ‘পদ্মাপারের মানুষ এমনিতেই ভাঙনের আতঙ্কে আছে। তার ওপর নতুন করে যোগ হয়েছে রাসেলস ভাইপারের আতঙ্ক। আমরা দৌলতদিয়াবাসী এখন কোথায় যাব। সবাইকে আরও বেশি সতর্ক হয়ে সাবধানতার সঙ্গে চলাচলের পরামর্শ দিচ্ছি।’