শরীয়তপুরে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে দুর্বৃত্তদের হামলা, আহত ৮

শরীয়তপুর জেলার মানচিত্র

শরীয়তপুরের জাজিরায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের সময়  মৎস্য বিভাগের কর্মচারীদের ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ৮ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে পদ্মা নদীর বাবুরচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন জাজিরা উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের ক্ষেত্র সহকারী রিয়াদ (২৮), গাড়িচালক মো. সাগর হোসেন (৩০), স্পিডবোটচালক সেকান্দার হোসাইন (২৯) এবং স্থানীয় হাবিব (২২), জিল্লুর রহমান (৪৫), মুশফিকুর রহমান (২৭), জামিল হোসেন (২৮) ও সেকান্দার হোসেন (৩৫)।

উপজেলা মৎস্য বিভাগ সূত্র জানায়, প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে ২২ দিনের ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান চলছে। এ জন্য পদ্মা ও মেঘনা নদীর শরীয়তপুরের ৭১ কিলোমিটার মাছ শিকার বন্ধ। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কিছু জেলে পদ্মা ও মেঘনা নদীতে ইলিশ শিকার করছে।

জাজিরা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় মঙ্গলবার রাতে জাজিরা ও নড়িয়ায় পদ্মা নদীতে ৪টি স্পিডবোট নিয়ে অভিযানে যান মৎস্য বিভাগের কর্মচারীরা। হঠাৎ করে ১৮ থেকে ২০টি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় লোকজন এসে জাজিরার বাবুরচর এলাকায় দুটি স্পিডবোটে হামলা চালায়। হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র ও লগি-বৈঠা দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে ৮ জনকে আহত করে পালিয়ে যায়। ওই সময় মৎস্য বিভাগের লোকজনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন না।

পরে নড়িয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জাকির হোসেনসহ মৎস্য বিভাগের লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনকে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

শরীয়তপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাদিউজ্জামান বলেন, ‘হামলার বিষয়ে মৎস্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে। আমরা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেব।’

শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মৎস্য বিভাগের লোকজন মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে নদীতে যাওয়ার আগে পুলিশকে কিছু জানায়নি। রাতে এভাবে ঝুঁকি নিয়ে পুলিশ ছাড়া তাদের নদীতে যাওয়া উচিত হয়নি। সঙ্গে পুলিশ থাকলে এ ঘটনা হয়তো ঘটত না। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। যারা ওই হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।’