চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার পথে নেতা-কর্মীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয় পুলিশ

নেতা-কর্মীকে পুলিশ গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছে। আজ বুধবার পটিয়া উপজেলার ইন্দ্রোপুল এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড ময়দানে বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার পথে একাধিক চেকপোস্ট বসিয়ে দলটির শত শত নেতা-কর্মীকে পুলিশ গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার পটিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম এ অভিযোগ করেন। আজ বিকেলে পলোগ্রাউন্ড ময়দানে বিএনপির সমাবেশ হওয়ার কথা।

মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, আজ সকাল ১০টার পর থেকে পটিয়ার ইন্দ্রোপুল, গিরিশ চৌধুরী বাজার এলাকার বাইপাস সড়কে ও নতুন ব্রিজ এলাকায় পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে পটিয়াসহ দক্ষিণের বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিভিন্ন যানবাহনে করে সমাবেশে যাওয়ার পথে হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে নামিয়ে দেয় পুলিশ। যাঁদের যেখানে নামিয়ে দেওয়া হয়, তাঁরা সেখান থেকে হেঁটে আবার সমাবেশে পথে রওনা হন। হাজার হাজার নেতা-কর্মী সমাবেশে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, সমাবেশে যাওয়ার জন্য উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে কয়েক দিন আগে পটিয়া থেকে শতাধিক বাস রিজার্ভ করা হয়। কিন্তু পুলিশ ও সরকারি দলের বিভিন্ন ভয়ভীতির কারণে গতকাল মঙ্গলবার গাড়ির চালকেরা টাকা ফেরত দিয়ে সমাবেশে যেতে অস্বীকৃতি জানান। ফলে তাঁরা বিকল্প হিসেবে ট্রাক ও মিনিবাস ভাড়া করে সমাবেশে যাচ্ছিলেন।

দুই দিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় রাতে তাঁদের বিভিন্ন নেতা-কর্মীর বাড়িতে পুলিশ গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মোহাম্মদ খোরশেদ আলম।

অভিযোগের বিষয়ে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার পথে বাধা দেওয়া কিংবা কোনো যানবাহন থেকে তাঁদের নেতা-কর্মীদের নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। বরং বিএনপিকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। যেহেতু সরকার তাদের সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে।

বুধবার বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে পটিয়ার বাইপাসের মুখ ইন্দ্রোপুল এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট দেখা যায়। চট্টগ্রামমুখী বিভিন্ন যানবাহনের কাগজপত্র দেখছিলেন পুলিশ সদস্যরা। সেখানে পুলিশের বাধায় একটি মাইক্রোবাস থেকে নেমে কয়েকজন যুবক বলছিলেন, তাঁরা সাতকানিয়া থেকে চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে যাচ্ছিলেন।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, পাঁচ দিন আগে বিএনপির পক্ষ থেকে বিলাসী ও মিনিবাসসহ ৬০টি বাস ভাড়া করেছিলেন বিএনপির নেতারা। সমাবেশে গন্ডগোল হতে পারে, এ জন্য গাড়ি ভাঙচুরের আশঙ্কায় ভাড়ার টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।