এই সংস্কারের জনক কিন্তু খালেদা জিয়া: রুমিন ফারহানা

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সবার প্রথম সংস্কারের কথা বলেছিলেন বলে মন্তব্য করেন দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সহসম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘অনেক সংস্কারের কথা হচ্ছে। সংস্কার ভালো জিনিস, সংস্কার দেশের ও মানুষের কল্যাণের জন্যই করা হয়। তবে এইটুকুও মনে করিয়ে দিই, প্রথম সংস্কারের কথা বলেছিলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া; ২০১৬ সালে যখন তিনি ভিশন ২০৩০ বলে একটা দলিল প্রকাশ করেন।’

আজ মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার প্রত্যন্ত অরুয়াইল ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির নেতা–কর্মীরা সংস্কারের বিরুদ্ধে নন উল্লেখ করে জনসভায় রুমিন ফারহানা আরও বলেন, ‘তবে একই সঙ্গে দেশবাসীকে মনে করিয়ে দিতে চাই, এই সংস্কারের জনক কিন্তু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারপরে আছেন বিএনপির যিনি কান্ডারি, তারেক রহমান, তিনি সংস্কারের ৩১ দফা ঘোষণা করেছেন।’

সংস্কারের প্রক্রিয়ার প্রসঙ্গে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘সংস্কার নিশ্চয়ই হবে। তবে সেটা হবে মানুষের প্রতিনিধিদের দ্বারা। আপনারা যাঁকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন, কেবল তাঁদেরই অধিকার আছে আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে, আপনাদের ভষিষ্যৎ কী হবে, কীভাবে উন্নয়ন করা যাবে, কীভাবে দেশটাকে সামনে এগিয়ে নেওয়া যাবে, কীভাবে মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা যাবে, কীভাবে মানুষের কথা বলার অধিকার নিশ্চিত করা যাবে? সবকিছু তাঁরাই নির্ধারণ করবেন, যাঁরা কিনা আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হবেন।’

রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একটা কথা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “আওয়ামী লীগ এখন চোখে দেখা যায় না। দৃশ্যমান কোনো শত্রু নেই। তবে অদৃশ্য কিছু শত্রু আছে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, আমরা যদি সঠিক মানুষকে রাজনীতিতে নির্বাচিত করতে পারি, বাংলাদেশে আর দ্বিতীয় হাসিনা তৈরি হতে দিব না।’”

রাজাপুর গ্রামে মেঘনা নদীর তীরে অনুষ্ঠিত জনসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বি এম মুমিনুল হক, সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টার প্রমুখ। সভায় সভাপতিত্ব করেন অরুয়াইল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল হামিদ। জনসভায় রুমিন ফারহানা উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুত দেন। পাশাপাশি অধিকসংখ্যক নারীর উপস্থিতিতে মুগ্ধ হয়ে তিনি প্রতিটি গ্রামে, ইউনিয়নে জনসভা করার ঘোষণা দেন।