উখিয়ায় আশ্রয়শিবিরে পাহাড় ধসে আরও ২ রোহিঙ্গার মৃত্যু, আতঙ্ক

পাহাড় কেটে ঢালুতে আশ্রয়শিবিরের অধিকাংশ ঘর তৈরি করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছেফাইল ছবি: প্রথম আলো

কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী আশ্রয়শিবিরে পৃথক পাহাড়ধসের ঘটনায় মাটিচাপা পড়ে এক শিশুসহ দুই রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার ভোরে আশ্রয়শিবিরের ক্যাম্প-১১-এর এফ-১ ব্লক ও ক্যাম্প-৮-এর ৪১ নম্বর ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে গত ১৯ জুন বালুখালীসহ আশপাশের কয়েকটি আশ্রয়শিবিরে একাধিক ভূমিধসের ঘটনায় ১০ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছিল। এ নিয়ে ১৫ দিনের ব্যবধানে পাহাড় ধসে ১২ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হলো। এ ঘটনার পর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন

মৃত ব্যক্তিরা হলেন বালুখালী আশ্রয়শিবিরের ক্যাম্প-১১-এর এফ-১ ব্লকের দিল মোহাম্মদের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২১) ও টেকনাফের লেদা টাওয়ারের পশ্চিম পাশের আশ্রয়শিবিরের মো. আলমের ছেলে সিফাত (১৩)। সে ক্যাম্প-৮-এর ৪১ নম্বর ব্লকে মামার ঘরে বেড়াতে এসে মাটিচাপা পড়ে।

পাহাড়ধসে দুই রোহিঙ্গার মৃত্যুর বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন। তিনি বলেন, পাহাড় ধসে মাটিচাপা পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দুটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে পুলিশ।পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি ঝুঁকি নিয়ে বসবাস

আরও পড়ুন

পুলিশ ও রোহিঙ্গা নেতারা জানান, কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণে আশ্রয়শিবিরের বিভিন্ন পাহাড়ে ধস দেখা দিয়েছে। পাহাড় কেটে ঢালুতে আশ্রয়শিবিরের অধিকাংশ ঘর তৈরি করা হয়েছে। ভারী বর্ষণে পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানি ত্রিপলের ছাউনির ঘরের ওপর পড়ছে। এতে মাটিচাপা পড়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। এখনো অন্তত ১৫ হাজার রোহিঙ্গা পাহাড়ধসের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন।

রোহিঙ্গা নেতা কামাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, টানা ভারী বর্ষণে উখিয়ার বালুখালী, মধুরছড়া, লম্বাশিয়া, জুমশিয়া, কুতুপালং আশ্রয়শিবিরের বিভিন্ন পাহাড়ে অর্ধশতাধিক স্থানে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। এখন সেই ফাটলে বৃষ্টির পানি ঢুকে ৩০-৭০ ফুট নিচে মাটির খণ্ড ধসে পড়ছে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়িতে। কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে আশ্রয়শিবিরে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এতে নারী ও শিশুদের দুর্ভোগ বেড়েছে।

আরও পড়ুন

বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১২ লাখ। এর মধ্যে উখিয়ার ২৩টি আশ্রয়শিবিরে ৯ লাখ ও টেকনাফের ১০টি আশ্রয়শিবিরে সাড়ে ৩ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করেন।