ভাঙ্গা থেকে ছেড়ে গেল ১২০ কিলোমিটার গতির পরীক্ষামূলক ট্রেন
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে যশোরের রূপদিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে ১২০ কিলোমিটার গতির পরীক্ষামূলক ট্রেন (ট্রায়াল ট্রেন)। আজ শনিবার সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে ভাঙ্গার বামনকান্দা রেলওয়ে জংশন থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। কাল রোববার সকালে একই সময়ে উচ্চগতির পরীক্ষামূলক ট্রেনটি চলাচল করবে।
ভাঙ্গা রেলস্টেশনের পয়েন্টম্যান দেবাশীষ মণ্ডল বলেন, পাঁচটি বগি নিয়ে বিশেষ ট্রায়াল ট্রেনটি ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশন থেকে যশোরের রূপদিয়ার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। ট্রেনটি সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে রূপদিয়ায় পৌঁছায়। এ ট্রেনে যাত্রী হিসেবে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ, চায়না ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা ছিলেন।
ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশন সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষামূলক ট্রেনটির চালকের দায়িত্বে ছিলেন সাখাওয়াত হোসেন। পরিচালকের দায়িত্বে আছেন তাপস কুমার বিশ্বাস। ৮৭ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দূরত্বের এই পথে ট্রেনটি ১২০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ গতি উঠিয়ে চলানো হয়েছে। তবে সব সময় ১২০ কিলোমিটার গতি ছিল না।
ট্রেনটির চালক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, যশোর থেকে ফিরে এসে দুপুর ১২টায় পাঁচটি বগির সঙ্গে আরও তিনটি বগি যোগ হয়ে আবার যশোরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে ট্রেনটি। ভাঙ্গার বামনকান্দা রেলওয়ে জংশন থেকে ট্রায়াল ট্রেন যাত্রা শুরু করে যশোরের রূপদিয়া স্টেশন পর্যন্ত ৮৭ কিলোমিটার পথ চলাচল করবে।
ভাঙ্গা রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার জিল্লুর রহমান বলেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে এই রেলপথ নির্মাণ হচ্ছে। বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ অর্থায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘চায়না রেলওয়ে গ্রুপ’ (সিআরইসি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথে কাশিয়ানী এবং যশোরের পদ্মবিলা ও সিঙ্গিয়াতে রেলওয়ে জংশন থাকছে। এ ছাড়া নগরকান্দা, মুকসুদপুর, মহেশপুর, লোহাগড়া, নড়াইল এবং যশোরের জামদিয়া ও রূপদিয়ায় রেলস্টেশন হচ্ছে।