যশোরে বিএনপি নেতার বাড়ি ও জামায়াতের কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

যশোর জেলার মানচিত্র

যশোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি, জামায়াতে ইসলামীর জেলা কার্যালয় ও দলটির এক কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের ধর্মতলা, মোল্লাপাড়া ও শংকরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

পুলিশ ও বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের ধর্মতলা বাজার এলাকায় যশোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেনের বাড়ির সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এর কয়েক মিনিট পর শংকরপুর জামায়াতে ইসলামীর কর্মী মাহবুবুর রহমানের বাড়ি ও কাছাকাছি সময়ে জামায়াতে ইসলামীর মোল্লাপাড়া এলাকার কার্যালয় লক্ষ্য করে আরও কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের ধর্মতলা এলাকায় বাসায় টেলিভিশন দেখছিলাম। এমন সময় বাসার সামনে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ হয়। বাসার সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। বের হয়ে দেখি, লোকজন দৌড়াদৌড়ি করছে। বাসার সামনে ধোঁয়া উড়ছে। পরে আশপাশের বাসিন্দারা বলেন, কয়েকটি মোটরসাইকেলে হেলমেট পরে দুর্বৃত্তরা আমার বাড়ির দিকে ককটেল বিস্ফোরণ করে চলে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, কাছাকাছি সময়ে শংকরপুরে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী মাহবুবুরের বাড়ি ও মোল্লাপাড়া এলাকায় জামায়াতের কার্যালয়ের সামনে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।

এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির গোলাম রসুলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জামায়াতের এক নেতা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

যশোর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সৈয়দ সাবেরুল হক বলেন, আতঙ্ক সৃষ্টি করতে রাজনৈতিক কারণে কেউ ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। এর আগেও বহুবার বিএনপি নেতাদের বাড়িতে সিরিজ বোমা হামলা চালানো হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে এ হামলা চালানো হতে পারে। তবে রাতে বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ তৎপর ছিল। এ জন্য হয়তো অন্য নেতার বাড়িতে রাতে আর কোনো হামলা হয়নি।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) আবদুর রাজ্জাক বলেন, রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হলেও বোমা বিস্ফোরণের তেমন আলামত পাওয়া যায়নি। কেউ লিখিত কোনো অভিযোগও দেয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।