সরকারি অফিসে এত লোক দরকার নেই: আব্দুল মুয়ীদ

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মূয়ীদ চৌধুরী ফরিদপুরে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বুধবার
ছবি: প্রথম আলো

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেছেন, সরকারি অফিস–আদালতে অনেক লোক নিয়োগ করা হয়। সেখানে এত লোক দরকার নেই। আরও কম লোকে সরকার চলতে পারে। তবে পুলিশের সংখ্যা আরও বাড়ানো দরকার। কারণ, আজকে নানা জটিলতার কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে স্থানীয়দের সঙ্গে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্যদের এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্যা।

মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আব্দুল মুয়ীদ বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কারের বিষয়টি অনেক কঠিন ও ব্যাপক বিষয়। তাঁরা এখনো চিন্তা করছেন, কীভাবে এটি করবেন। বসে বসে হয়তো একাডেমিক কিছু করে দেওয়া যাবে, তবে তা বাস্তবসম্মত হবে না। এ জন্য তাঁরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে এ ব্যাপারে জনগণের মতামত নিচ্ছেন।

মুয়ীদ বলেন, নির্বাচনের জন্য একটা আলাদা কমিশন আছে। তারপরও একই দিনে জাতীয় ও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং ইউপি নির্বাচনের পদ্ধতি বদলে ইউপি সদস্যদের ভোটে চেয়ারম্যানদের নির্বাচিত করা যায় কি না, সেটি চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। একই দিনে ইউপি আর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে বুথ দখল আর সহজ হবে না।

এ বিষয়ে মুয়ীদ আরও বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে এখন যে পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়, তাতে রাজনৈতিক প্রভাব বেশি থাকে। আর ইউপি সদস্যরা যদি চেয়ারম্যানদের নির্বাচিত করেন তাহলে ওখান থেকেই গণতন্ত্রটা শুরু হবে। কেউ পুরো জিনিসটা দখল করে বসে থাকবে না। ইউপিতে এভাবে জবাবদিহির বিষয়টা আনা গেলে উপজেলা পর্যায়েও এর প্রভাব পড়বে।

আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, ‘জনপ্রশাসন সংস্কারে এ পর্যন্ত অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে অনেক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চাকরি আর চাকরির মতো থাকবে না। আমরা চাকর জনগণের। জনগণ আমাদের বেতন দেয়। নতুন করে আমাদের সবাইকে এটি ভাবতে হবে। অনেকে বলেন সেবা দান। আমরা পাবলিক সার্ভেন্ট।’

এ সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, বিগত আমলে প্রশাসনকে জনবিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই প্রশাসন শব্দটি বাদ দিয়ে অন্য কিছু বলা যায় কি না, সেটিও চিন্তা করছেন তাঁরা।

সভায় আরও বক্তব্য দেন ফরিদপুর মুসলিম মিশনের সম্পাদক এম এ সামাদ, সরকারি ইয়াছিন কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল হক, বাকীগঞ্জ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসান, সনাক প্রতিনিধি শিপ্রা রায়, ব্যবসায়ী নেতা আওলাদ হোসেন প্রমুখ।