মতলব দক্ষিণে বিএনপির প্রায় সব নেতা-কর্মী ‘আত্মগোপনে’

চাঁদপুর জেলার মানচিত্র

গ্রেপ্তার এড়াতে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে আছেন। কারফিউ জারির পর থেকে তাঁরা এলাকায় নেই। নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এ কারণে পুলিশি হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে তাঁরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের দলের নেতা ও কর্মীরা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। এ এলাকার পরিবেশও শান্ত। তবু রাতে তাঁদের দলের প্রত্যেক নেতা-কর্মীর বাড়িতে গিয়ে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। বিনা কারণে কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দলের কর্মকাণ্ডে সরাসরি সক্রিয়ভাবে যুক্ত নন, এমন কয়েকজনকেও নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশি হয়রানি ও গ্রেপ্তার এড়াতে দলের নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে চলে গেছেন।

পুলিশ ও উপজেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে করা জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর ও নাশকতার আইনে পুলিশের করা পাঁচটি মামলায় উপজেলা বিএনপির কর্মী জাহাঙ্গীর আলম, কবির হোসেন ও উপজেলার উপাদী উত্তর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম হোসেন মিয়াজীসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কারফিউ জারির পর তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা সবাই এখন কারাগারে।

গ্রেপ্তার যুবদল নেতা মো. শামীম হোসেন মিয়াজীর চাচা সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তাঁর ভাতিজা শামীম কোনো ধরনের সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও জ্বালাও-পোড়াওয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এ জাতীয় কোনো ঘটনাও এ এলাকায় হয়নি। তবু রাজনৈতিকভাবে হয়রানির উদ্দেশ্যে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। শারীরিকভাবেও নির্যাতন করে। শামীমের আয়ের ওপর সংসারের খরচ মিটত। গ্রেপ্তার হওয়ায় তাঁর পরিবার বিপাকে পড়েছে।

মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন বালা প্রথম আলোকে বলেন, বিনা কারণে পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি করছে না। কারফিউ জারির পর আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত এ উপজেলায় বিএনপির পাঁচ নেতা-কর্মীকে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।