পবায় এক প্রার্থীর সমর্থককে ছুরিকাঘাতের পর ভোটকেন্দ্র ফাঁকা
রাজশাহীর পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এক প্রার্থীর সমর্থককে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। আজ বুধবার ভোট গ্রহণ চলাকালে বেলা ১১টার দিকে উপজেলার পারিলা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ভোটকেন্দ্রটি একেবারে ফাঁকা হয়ে গেছে।
আহত ব্যক্তির নাম আবদুল মোমিন (৩০)। পারিলা চকপাড়া গ্রামে তাঁর বাড়ি। তিনি ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হকের সমর্থক। ঘটনার পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এমদাদুল হকের প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী ফারুক হোসেনের সমর্থকেরা মোমিনকে ছুরিকাঘাত করেছেন বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে দুপুরে পারিলা গিয়ে আহত মোমিনের রক্তমাখা কাপড় নিয়ে বসে ছিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক।
তৃতীয় ধাপে আজ পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মোমিনসহ আরও কয়েকজন ঘোড়া প্রতীকের সমর্থক অটোরিকশায় চড়ে বেলা ১১টার দিকে পারিলা উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আসেন। এ সময় ভোটকেন্দ্রের সামনে আনারস প্রতীকের সমর্থক পাভেল, পুলক, স্বদেশ, সাইম, শাওন, ফরহাদুল, সাগর, হৃদয়, জাকির, মনি, মোসাব্বির, সোহানসহ প্রায় ২০-২৫ জন মোমিনকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাঁরা সরে গেলে ঘোড়ার সমর্থকেরা আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ভোটকেন্দ্রে ভোটারের কোনো লাইন নেই। প্রায় ফাঁকা ভোটকেন্দ্রে মাঝে মাঝে একজন-দুজন ভোটার কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিচ্ছিলেন। ভোটকেন্দ্রের সামনেই পারিলা বাজার। প্রতিটি দোকানপাট বন্ধ, বাজারে একজন মানুষও পাওয়া যায়নি।
ভোটকেন্দ্রের পূর্ব পাশে পারিলা মোড়ে বসে ছিলেন আনারস প্রতীকের সমর্থকেরা। আর পশ্চিম দিকে তরফ পারিলা এলাকায় বসে ছিলেন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী এমদাদুল হক ও তাঁর সমর্থকেরা। এমদাদুল হক ফোনে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। তিনি বলেন, ফারুক হোসেন ডাবলুর সমর্থকেরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তিনি এর বিচার চান।
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে আনারস প্রতীকের প্রার্থী ফারুক হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে। তাই তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানী বলেন, কেন্দ্রের বাইরে কী হয়েছে তা তিনি জানেন না। কেন্দ্রের ভেতরে কিছু হয়নি। কেন্দ্রটিতে মোট ভোটার ৪ হাজার ২৫৭ জন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৯২২ জন (২১ দশমিক ৭ শতাংশ) ভোট দিয়েছেন।