নারায়ণগঞ্জে গ্যাসলাইনের ছিদ্র থেকে বিস্ফোরণে কিশোরসহ দগ্ধ ৩
নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকায় একটি টিনশেড বাড়িতে গ্যাসলাইনের ছিদ্র থেকে বিস্ফোরণে এক কিশোরসহ তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের গুরুতর অবস্থায় রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে দেওভোগের বাঁশমুলি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন—শহরের দেওভোগ বাঁশমুলি এলাকার আলম (৩৫), রমজান (২২) ও রিফাত (১৩)। তাঁদের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনজনই পেশায় রংমিস্ত্রি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহরের দেওভোগ বাঁশমুলি এলাকার খলিল মুন্সীর বাড়িতে ওই তিন ব্যক্তি ভাড়া থাকেন। রাত ১২টার দিকে তাঁদের ঘরে গ্যাসের ছিদ্র থেকে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘরের টিনের চালা উড়ে যায় এবং ঘরের দেয়ালের কিছু অংশ ধসে পড়ে। এ সময় ঘরে থাকা আলম, রমজানসহ রিফাত দগ্ধ হয়। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাঁদের উদ্ধার করে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন।
বিস্ফোরণের পর ঘরের ভেতরে গ্যাসের পাইপলাইনের একটি রাইজার এবং মেঝেতে সিগারেটের পোড়া অংশ ও একটি লাইটার পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এলাকাবাসীর ধারণা, লাইনের ছিদ্র দিয়ে গ্যাস বেরিয়ে ঘরের ভেতরে জমে ছিল। কেউ একজন লাইটার জ্বালানোয় জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ভোরের দিকে তিনজনকে দগ্ধ অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। ঘরের ভেতর গ্যাসের ছিদ্র থেকে আগুনে দগ্ধ হয়েছেন তাঁরা।
দগ্ধ ব্যক্তিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন তরিকুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে আলমের শরীরের ৭৬ শতাংশ, রমজানের ৫৮ এবং রিফাতের ২৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। তাঁদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আযম বলেন, বিস্ফোরণের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। দগ্ধ ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।