প্রথম আলো ট্রাস্টের কম্বল পেয়ে শীতের কষ্ট ঘুচল তাঁদের

প্রথম আলো ট্রাস্টের কম্বল পেয়ে খুশি শীতার্ত মানুষেরা। আজ শুক্রবার বিকেলে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সহায়তায় নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার লক্ষ্মণপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে কম্বল বিতরণ করা হয়ছবি: প্রথম আলো

স্বামী মারা যাওয়ার পর বড় ছেলের সঙ্গে থাকেন দয়া রানী (৭৬)। দিনমজুর ছেলের সংসারে কোনো রকম তিন বেলা খাবার জোটে; কিন্তু তীব্র শীত নিবারণের মতো একটা কম্বল বা লেপ নেই দয়া রানীর। কনকনে শীতে কাঁপতে কাঁপতে আজ শুক্রবার তিনি এসেছিলেন নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার লক্ষ্মণপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে।
সেখানে তাঁর হাতে শীত নিবারণের জন্য কম্বল তুলে দেন প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যরা। উপজেলার বাঙালিপুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামে দয়া রানীর মতো ২০০ জনকে প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সহায়তায় কম্বল উপহার দেওয়া হয়।

কম্বল পেয়ে ফেরার পথে দয়া রানী বলেন, ‘জাড়ের (শীত) জ্বালা হামাক খিব ভুগাইছে। আইজ প্রথম আলো মোর বাদে কম্বল পাঠে দিছে। ভগবান তোমার ভালো করিবে।’
একই ইউনিয়নের পাঠানপাড়ার ফেলামাইন বেওয়া লক্ষ্মণপুরে ছোট বোনের বাড়িতে থাকেন। তীব্র শীতে তিনিও কষ্ট করছিলেন। প্রথম আলো ট্রাস্টের কম্বল পেয়ে তিনি বলেন, ‘কম্বলগুলা খিব ভালো। নাড়ি দেখনু গরম এই গুলা।’

কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন লক্ষ্মণপুর স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সৈয়দপুর বন্ধুসভার সভাপতি বিলকিস আক্তার। সৈয়দপুর প্রথম আলো বন্ধুসভার উপদেষ্টা মমতাজ পারভীনের সঞ্চালনায় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর বন্ধুসভার শীতবস্ত্র বিতরণ কমিটির আহ্বায়ক আহসান হাবিব, বন্ধুসভার সহসভাপতি ডালিম রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক সাধনা রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আল সাজিদ, সদস্য লিয়ন, আকাশ, রাজু, লাবিব, সৃষ্টি, স্রোতস্বিনী, শ্রাবণী, বাঁধন, মিনার, রাশেদ, সালপিয়া, তীর্থ প্রমুখ।

আরও পড়ুন

এর আগের দিন বন্ধুসভার বন্ধুরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে শীতার্ত মানুষদের বাছাই করে স্লিপ দিয়ে আসেন। সেই স্লিপ নিয়ে কম্বল নিতে এসেছিলেন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা।

শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন। সহায়তা পাঠানো যাবে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে। হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল, হিসাব নম্বর: ২০৭ ২০০ ১১১৯৪, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।

বিকাশে সহায়তার অর্থ পাঠাতে পারেন: ০১৭১৩–০৬৭৫৭৬ এই মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে। এ ছাড়া বিকাশ অ্যাপে ডোনেশন অপশনের মাধ্যমেও আপনার অনুদান পাঠাতে পারেন।

এ পর্যন্ত মোট অনুদান পাওয়া গেছে ২ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ টাকা। যার ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮০ টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে এবং ৯৫ হাজার ৪৬০ টাকা বিকাশের মাধ্যমে এসেছে।

আরও পড়ুন