বাগমারায় তরুণীকে এক মাস আটক রেখে ধর্ষণ-নির্যাতন
রাজশাহীর বাগমারায় তরুণীকে (২৫) বিয়ের আশ্বাস দিয়ে এক মাস বাড়িতে আটকে রেখে মারধর ও ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার হরিফলা মহল্লার একটি বাড়ি থেকে অসুস্থ তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার রাজু হোসেন (২৫) তাহেরপুর পৌরসভার হরিফলা মহল্লার আবদুর রাজ্জাক শাহের ছেলে। পেশায় তিনি চায়ের দোকানি। অসুস্থ তরুণীকে বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়ার পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) স্থানান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই তরুণীর বাড়ি ফরিদপুর জেলায়। মুঠোফোনে রাজুর সঙ্গে তাঁর পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে গত ২৪ মার্চ তাঁকে তাহেরপুরে নিয়ে আসেন রাজু। হরিফলা মহল্লার একটি ভাড়া বাসায় তাঁরা দুজন ওঠেন। বাড়িটি নির্জন এলাকায় এবং সেখানে অন্য কোনো কেউ থাকতেন না। তরুণীকে ভয় দেখিয়ে ও মারধর করে ধর্ষণ করেন রাজু। এক মাস ধরে তাঁর ওপর নির্যাতন চলে। তরুণী একাধিকবার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেও সফল হতে পারেননি।
এদিকে নির্যাতনের শিকার তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পাশের বাড়ির লোকজন টের পেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানান। তিনি থানায় খবর দিলে গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ওই বাসা থেকে তরুণীকে উদ্ধার করে। পরে ওই এলাকা থেকে রাজুকে আটক করে পুলিশ। রাতেই তরুণী বাদী হয়ে অপহরণ, ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিন্টু পিয়াদা জানান, হরিফলা মহল্লায় একটি ভাড়া বাড়িতে তরুণীকে নিয়ে থাকতেন রাজু। মেয়েটাকে বাড়িতে আটকে রেখে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রাজু এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। ছিনতাই, মাদক, দাঙ্গা-হাঙ্গসমাসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, মেয়েটার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া তরুণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। অপরাধী কোনোভাবে ছাড় পাবে না।