জাফরুল্লাহ শুধু রাষ্ট্রের স্বাধীনতা নয়, মানুষের স্বাধীনতা চেয়েছিলেন: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
গণ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরী সমাজবিপ্লবী ছিলেন। তিনি শুধু রাষ্ট্রের স্বাধীনতা নয়, মানুষের স্বাধীনতা চেয়েছিলেন। জাফরুল্লাহ চৌধুরী আদ্যোপান্ত একজন বাংলাদেশি ছিলেন।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ৮৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে নিয়ে রচিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। ঢাকার সাভারে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী ইচ্ছা করলে অনেক বড় সার্জন হতে পারতেন, বিত্তবান মানুষ হতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না হয়ে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত জনগণের জন্য যুদ্ধ করে গেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তিমালিকানার পরিবর্তে সামাজিক মালিকানা করে গেছেন। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জনগণকে সম্পৃক্ত করেছেন।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো বহুমুখী প্রতিভাবান ছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তাঁকে নিয়ে গবেষণা করতে হবে। তাঁর কাজকে মূল্যায়ন করতে হবে, তাঁর আদর্শকে অনুধাবন করতে হবে। তিনি জীবিত থাকলে বর্তমান রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে ভূমিকা রাখতেন।
অনুষ্ঠানে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবুল কাসেম চৌধুরী বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিকল্প চিন্তার মানুষ ছিলেন। তিনি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন, গরিবের উন্নয়ন না হলে রাষ্ট্রের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ জন্য তিনি সারা জীবন হতদরিদ্র ও পশ্চাৎপদ মানুষের উন্নয়নে কাজ করেছেন।
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মনসুর মুসা। আলোচনা সভায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সহধর্মিণী ও গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি শিরীন হক, ছেলে বারিশ চৌধুরী, মেয়ে বৃষ্টি চৌধুরী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক আলতাফুন্নেসা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।