খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আনিছুর রহমান ভূঞা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। শিক্ষার্থীরাও আজ চার দফা দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তাঁদের একটি দাবি ছিল কুয়েট ক্যাম্পাস সব ধরনের রাজনীতিমুক্ত করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আনিছুর রহমান ভূঞা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০২৩’-এর ধারা ৪৪(৫) অনুযায়ী শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কোনো অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও কর্মকাণ্ড পরিচালনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। এই নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সব ধরনের রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কোনো সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও কর্মকাণ্ড পরিচালনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। একই সঙ্গে যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক সভা-সমাবেশও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ডিন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, হল প্রভোস্ট ও শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব আবাসিক হল খুলে দিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম চালু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে উপাচার্য বা ওই দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সিন্ডিকেট সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিহত ছাত্র-জনতার রুহের মাগফিরাত কামনা এবং তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়। পাশাপাশি ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে সুষ্ঠু বিচার দাবি করা হয়।