গ্রাম পুলিশকে মারধরের অভিযোগে সাদুল্লাপুরে বিএনপির তিন নেতার দলীয় পদ স্থগিত

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের আহত গ্রাম পুলিশ আবদুল গণি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তোলা
ছবি: প্রথম আলো

গ্রাম পুলিশকে মারধরের অভিযোগে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতিসহ তিনজন নেতার দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ছামছুল হাসান ও সদস্যসচিব আবদুস সালামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

দলীয় পদ স্থগিত হওয়া এই নেতারা হলেন কামারপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শওকত আলী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ছামছুল হাসান জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তাঁদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

এদিকে মারধরের ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গ্রাম পুলিশ আবদুল গণি সাদুল্লাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি কামারপাড়া ইউনিয়নের কিশামত বাগচী গ্রামের নীল মিয়ার ছেলে।

সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজউদ্দিন খন্দকার লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশ, লিখিত অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বেলা ১১টার দিকে কামারপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শওকত আলী তাঁর স্ত্রীর জন্মনিবন্ধন করতে ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) যান। ইউনিয়ন পরিষদ সচিব আবদুল কাদের ও হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর বেলাল হোসেন তাঁকে দুপুরের পর আসতে বলেন। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ২০ থেকে ২৫ জনকে নিয়ে পরিষদে এসে সচিব ও হিসাব সহকারীকে গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁরা চড়াও হন। বাধা দিলে তাঁরা কর্তব্যরত গ্রাম পুলিশ আবদুল গণিকে মারধর করেন। এই ঘটনায় তাঁর নাক ফেটে যায়। তিনি গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত কামারপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শওকত আলী ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

কামারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজার রহমান জানান, এ সময় তিনি ইউনিয়ন পরিষদে ছিলেন না। খবর পেয়ে ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়েছেন।