সিলেটে পাথর চুরির মামলায় গ্রেপ্তার স্কুলছাত্রের মুক্তির দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

দশম শ্রেণির ছাত্রের মুক্তির দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয় লোকজন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার খাগাইল এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর থেকে অবৈধভাবে পাথর চুরির অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার দশম শ্রেণির ছাত্রের মুক্তির দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয় লোকজন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার খাগাইল এলাকায় সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। ভোগান্তির মধ্যে পড়েন বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা।

অবরোধকারীরা বলছেন, পাথর চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার এনামুল হক অপ্রাপ্তবয়স্ক। পাশাপাশি সে এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। ঘটনার সময় সে ট্রাকের যাত্রী ছিল। তাঁকে আটকের সময় ট্রাকচালকসহ স্থানীয় লোকজন বিষয়টি পুলিশের কাছে বললেও পুলিশ আমলে নেয়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাতে সিলেটের হাইটেক পার্ক এলাকা থেকে তিনজনকে আটকের পর পাথর পরিবহন করা ট্রাকসহ থানায় নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। সেই মামলায় কোম্পানীগঞ্জের তেলিখাল গ্রামের মো. আবদুল্লাহ মিয়া (৩৮), গৌরীনগর গ্রামের আবুল হোসেন (৩২) ও খাগাইল এলাকার এনামুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এঁদের মধ্যে এনামুল হক কোম্পানীগঞ্জের দলইরগাঁও উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির নিয়মিত ছাত্র। তবে মামলায় তার বয়স উল্লেখ করা হয়েছে ১৯ বছর। এনামুল হক পাথর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নয় বলেও দাবি স্থানীয় লোকজনের।

তবে পুলিশের ভাষ্য, এনামুল হক ট্রাকচালকের সহকারী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। এ ছাড়া তার বয়স প্রাপ্তবয়স্ক মনে হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অপ্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অবরোধ প্রত্যাহারে পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার খাগাইল এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

কোম্পানীগঞ্জের দলইরগাঁও উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জাহের আলী বলেন, এনামুলের বয়স ১৭ বছর। তাঁর জন্মতারিখ ২০০৭ সালের ১ অক্টোবর। তাঁকে গ্রেপ্তারের খবর শুনে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান খান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ কর্মকর্তারা ছাড়াও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অন্যরা রয়েছেন। অবরোধকারীদের বুঝিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পাথর চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরে আদালতের বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার সকালে পাথর চুরির অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও তাঁদের মুক্তির দাবিতে পরিবহনশ্রমিকেরা সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ মহাসড়ক প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধ করে রেখেছিলেন। পরে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।

আরও পড়ুন