ফেনীতে বিএনপির পদযাত্রার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা

সংঘর্ষের সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। মঙ্গলবার বিকেলে ফেনী শহরের ট্রাংক রোডে
ছবি: প্রথম আলো

ফেনীতে বিএনপির পদযাত্রার সময় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) হায়াত উল্যা বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা দুটি করেন।

দুই মামলাতেই বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৮৮ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা দুই হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। একটি মামলা পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে এবং অপরটি পুলিশের কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা হয়েছে। তবে আজ বুধবার বেলা ১১টা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।

দুটি মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার, সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক এয়াকুব নবী, যুবদলের জাকির হোসেন, আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী ও পৌর বিএনপির নেতা মেজবাহ উদ্দিন।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, গতকাল মঙ্গলবার বিএনপির পদযাত্রার সময় ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশের কাজে বাধা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান চলছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ফেনীতে বিএনপির পদযাত্রা শেষে আওয়ামী লীগের ‘শান্তি’ শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশ, সাংবাদিক, পথচারীসহ অন্তত শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন

এর আগে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিএনপির নেতা-কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে প্রথম দফা সংঘর্ষ হয়। বিএনপির পদযাত্রা চলাকালে শেষ মুহূর্তে শহরের ট্রাংক রোডের খেজুর চত্বর ও ইসলামপুর রোডের মাথার সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এদিকে বিকেল চারটার দিকে শহরের গ্র্যান্ড ট্রাংক রোডের দাউদপুর এলাকা থেকে পদযাত্রা শুরু করে বিএনপি। পদযাত্রাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে যাওয়ার কথা থাকলেও শহরের ট্রাংক রোডের খেজুর চত্বরে পৌঁছালে পুলিশ তাঁদের গতিপথ শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কের দিকে এবং পরে ইসলামপুর রোডের দিকে ঘুরিয়ে দেয়। মিছিলের পেছনের অংশ খেজুর চত্বরে পৌঁছালে একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।