ঢাকায় মহাসমাবেশে যেতে পথে পথে হয়রানির অভিযোগ বগুড়া বিএনপির
ঢাকায় আয়োজিত মহাসমাবেশে যোগ দিতে বগুড়া থেকে হাজারো নেতা-কর্মী ঢাকা অভিমুখে রওনা দিয়েছেন। জেলা বিএনপির নেতারা দাবি করেছেন, বাসে, মাইক্রোবাসে, প্রাইভেট কারে করে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় রওনা দিলেও পথে পথে বাধা ও প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হচ্ছে। সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে বগুড়া বিএনপির চার নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে রাজধানীর পল্লবী থানা-পুলিশ।
বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার চারজন হলেন শেরপুর উপজেলা বিএনপির যুববিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ, শাহবন্দেগি ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব শফি কামাল, ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান ও শাহবন্দেগি ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য আলম হোসেন।
বগুড়া জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলাম বলেন, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বৃহস্পতিবারের মহাসমাবেশে যোগ দিতে পথে পথে বিএনপি নেতা-কর্মীদের পুলিশি হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এ জন্য মহাসমাবেশে যোগ দিতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে সড়ক, রেল ও জলপথে ঢাকায় রওনা দিয়েছেন। কিন্তু বগুড়া থেকে ঢাকায় পৌঁছানো পর্যন্ত পথে পথে নেতা-কর্মীদের বহনকারী বাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার আটকে হয়রানি করা হয়েছে। বিনা দোষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে চার নেতাকে।
বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ঢাকায় মহাসমাবেশে যেতে বাধা দিতে পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করছে। ঢাকায় সমাবেশে যাতে যেতে না পারে, সে জন্য পুলিশ সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও ঢাকায় পথে পথে গাড়ি আটকে হয়রানি করছে।
তবে সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল বলেন, মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন এবং মাদক চোরাচালান ঠেকাতে যানবাহনে নিয়মিত তল্লাশি চালানো হয়। এর সঙ্গে ঢাকায় রাজনৈতিক দলের মহাসমাবেশের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।