সিলেটে রিজেন্টের সাহেদের বিরুদ্ধে প্রতারণাসহ চারটি মামলা আপসে নিষ্পত্তি

মোহাম্মদ সাহেদ
ছবি: সংগৃহীত

আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে সিলেটে দায়ের হওয়া প্রতারণাসহ চারটি মামলা আপসে নিষ্পত্তি হয়েছে। চারটি মামলায় বাদী শামসুল মাওলাকে তাঁর প্রাপ্য ২২ লাখ টাকা পরিশোধের পর সোমবার মামলাগুলো আইনজীবীর মাধ্যমে আপসে নিষ্পত্তি হয়েছে। এতে মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন সাহেদ করিম। বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন চার মামলার বাদী শামসুল মাওলার আইনজীবী আব্দুস সাত্তার।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৪ মার্চ সিলেট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের বিরুদ্ধে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকার তিনটি চেক প্রত্যাখ্যানের মামলা করেন শামসুল মাওলা। তিনি সিলেটের জৈন্তাপুরের পাথর ব্যবসায়ী। সাহেদের দেওয়া ১০ লাখ টাকা করে ২টি চেকে ২০ লাখ টাকা এবং আরও একটি চেকে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারিত সময়ে না পাওয়ায় এসব মামলা করেন তিনি। পরে ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ১০ লাখ টাকার আরও একটি প্রতারণা মামলা করেন শামসুল মাওলা। মামলায় উল্লেখ করা হয় শামসুল মাওলাকে নিজ প্রতিষ্ঠানের নামে অন্য এক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামের চেক দেন সাহেদ। পরে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি সাহেদ করিমের নয় এবং স্বাক্ষরেরও মিল নেই।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার বলেন, বিবাদীপক্ষের আইনজীবীর মাধ্যমে চারটি মামলা আপসে নিষ্পত্তি হয়েছে। চারটি মামলায় বাদীকে মোট ২২ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। সোমবার সব পাওনা মিটে যাওয়ায় আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করলে বাদীর জবানবন্দি নিয়ে আসামিদের খালাস দেন বিচারক।

আরও পড়ুন

আসামিপক্ষের আইনজীবী ওহিদুর রহমান চৌধুরী বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম বর্তমানে অসুস্থ। মূলত মাসুদ পারভেজ নামের এক ব্যক্তি তাঁর প্রতিষ্ঠানের নামে শামসুল মাওলার সঙ্গে ব্যবসা করেছেন। পরে তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিষয়টি সামনে আসে। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হওয়ায় সাহেদ করিমের ওপর মামলাগুলো হয়েছে। শামসুল মাওলা টাকা পাওনা রয়েছে জানতে পেরে তিনি টাকা পরিশোধ করছেন।

মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক-বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০২০ সালের ৬ জুলাই করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়া ও সরকারের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করে রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে র‍্যাব রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায়। পরদিন র‍্যাব বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরায় ভারতের সীমান্তের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।